পিস লিলি, লাকি ব্যাম্বু, পোথোস, স্লেকপ্ল্যান্ট, রাবার— রকমারি গাছে ঘর সাজিয়েছেন। সতেজ, সুন্দর গাছ দেখে প্রতি দিন মনও ভাল হয়ে যায়। এমনিতে অল্প আলোয়, কম যত্নেই বেড়ে উঠতে পারে ঘর-সাজানো গাছগুলি। সে ভাবে তাদের জন্য সময় দিতে হয় না। তবে কখনও-সখনও কিন্তু গাছেরও ‘খাবার’ দরকার হয়। মাটি থেকেই বেড়ে ওঠার জন্য পুষ্টি শোষণ করে গাছ। কিন্তু কখনও প্রয়োজনীয় উপাদান মাটিতে না মিললে দিতে হয় সার।
কোন লক্ষণে বুঝবেন গাছের সার প্রয়োজন?
১. গাছের পাতা হলুদ হয়ে গেলে
২. গাছের বাড়বৃদ্ধি থমকে গেলে
৩. ফুল গাছে ফুল না আসলে বা কমে গেলে
কত দিন অন্তর সার প্রয়োগ করবেন?
গাছ বেড়ে ওঠার সময়ই পুষ্টির প্রয়োজন হয়। স্বাভাবিক নিয়ম সেটাই। ঘর সাজানোর গাছের জন্য ৩-৪ সপ্তাহ অন্তর সার দেওয়া যায়, তবে তা নির্ভর করছে কোন ধরনের সার দেওয়া হচ্ছে তার উপর। ঘরোয়া গাছ নিয়ে চর্চাকারীরা বলছেন, সার দেওয়া ভাল সূর্য ওঠার আগে।
সারের রকমফের
১. এক ধরনের সার রয়েছে, যেটি প্রয়োগ করলে গাছ ধীরে ধীরে পুষ্টি সংগ্রহ করে। উদ্যানপালকেরা বলছেন, এই ধরনের সারের সুবিধা হল, নির্দিষ্ট সময় ধরে গাছ তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংগ্রহ করতে পারে। মাটিতে কোনও উপাদান একেবারে বেশি হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
২. এক ধরনের সার পাওয়া যায়, যা প্যাকেট কেটে জলে মিশিয়ে নিতে হয়। একে বলা হয় জলে দ্রবণযোগ্য সার। তবে জলে মেশানোর সময় সারের মাপ ঠিক রাখা দরকার।
৩. তরল সারও পাওয়া যায়। জৈব উপাদান পচিয়ে জলে মিশিয়ে এই ধরনের সার তৈরি করা যায়, আবার নার্সারি বা দোকান থেকে কিনতেও পাওয়া যায়।
সতর্কতা: গাছের জন্য সার যেমন প্রয়োজনীয়, তেমনই মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে তা ক্ষতিকর হতে পারে। গাছের পাতা বাদামি হয়ে যেতে পারে, শিকড় পচে যেতে পারে। তাই মাপ বুঝে তার প্রয়োগ জরুরি।