বাড়ির বর্জ্য যেন পরিবেশকে দূষিত না করে ছবি: সংগৃহীত
পরিবেশদূষণের কথা মাথায় এলেই প্রথমে মনে পড়ে বড় বড় কলকারখানার কথা। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ির আবর্জনা থেকেও বহুল পরিমাণে দূষিত হয় পরিবেশ। তাই পরিবেশদূষণ কমাতে প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে বাড়ি থেকেই। রইল এমন কিছু টোটকা, যাতে দৈনন্দিন আবর্জনা ফেলতে গিয়ে পরিবেশদূষণ বেড়ে না যায়।
১। পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিস
অনেক বাজারজাত জিনিসপত্রের গায়েই পুনর্ব্যবহারযোগ্যতার লোগো থাকে। এই লোগো দেখে সাধারণ বর্জ্যের থেকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিসগুলিকে আলাদা করুন। সাধারণ বর্জ্য পদার্থের বদলে এই জিনিসগুলি আলাদা পাত্রে রাখুন। ফেলার সময়ে উপযুক্ত স্থানে ফেলুন।
২। পুনরায় ব্যবহার
কিছু কিছু জিনিস খুব সহজ উপায়েই দ্বিতীয় বার ব্যবহার করা যায়। যেমন ধরুন বাতিল বিছানার চাদর দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন কাপড়ের বাজার করার থলে বা টি-টেবিলের ঢাকা। পুরনো কাচের জলের বোতল ব্যবহার করতে পারেন ফুলদানি হিসাবে। এতে বর্জ্য আর খরচ দুই-ই কমবে।
৩। কম্পোস্ট যাঁরা বাড়িতে বাগান করতে ভালবাসেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই কম্পোস্টিং শেখা উচিত। এটি বাগান এবং পরিবেশ, উভয়ের জন্যই ভাল। সবুজ বর্জ্য ফেলে দেওয়ার পরিবর্তে, সেগুলি জৈব সার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, চায়ের পাতা ফেলে না দিয়ে গোলাপ চারার গোড়ায় দিলে ফলন ভাল হয়।
৪। আলাদা বর্জ্য আলাদা পাত্রে
জৈব ও অজৈব বর্জ্য আলাদা করুন। দু’টি আলাদা রঙের পাত্রে রাখুন দুই ধরনের বর্জ্য। শাক-সব্জির খোসা, রান্নাঘরের বর্জ্য কিংবা ফেলে দেয়া কাপড়জামার মতো জিনিস সহজে মাটিতে মিশে যায়। এই ধরনের আবর্জনা আলাদা ফেলুন। আর প্লাস্টিকের ব্যাগ, বোতল, খাবারের প্যাকেট এ সব ফেলুন নির্দিষ্ট পাত্রে।
৫। ভেবেচিন্তে ক্রয় করুন
অনেক সময়েই অনেকে ঝোঁকের মাথায় হরেক রকম জিনিস কিনে ফেলেন যা আর পরে কাজে লাগে না। আর শেষমেশ তার জায়গা হয় ময়লার ফেলার পাত্রে। এতে খরচ বাড়ে, বাড়ে পরিবেশদূষণও। তাই কিছু কেনার আগেই সচেতন সিদ্ধান্ত নিন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy