বাতানুকূল অফিস ঘরে দিনভর কাজ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটে ডেস্কে বসেই। ল্যাপটপ, কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘক্ষণ কাজের মধ্যে চোখ বিশ্রাম পায় যদি সেখানে সবুজ থাকে।
কৃত্রিম নয়, বরং অন্দরের শোভা বৃদ্ধিতে আসল গাছের কদর বাড়ছে। মানিপ্ল্যান্ট থেকে স্নেকপ্ল্যান্ট, পিস লিলি-সহ অনেক গাছই বাতানুকূল ঘরে বড় করা যায়। তেমনই গাছ দিয়ে অফিসের ডেস্কটিও সাজাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু গাছ বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না হলেই তার নানা লক্ষণে ফুটে ওঠে। যেমন পাতা হলুদ হয়ে যাওয়া অথবা গাছের পাতা ঝরা বা কুঁকড়ে যাওয়া!
উপযুক্ত স্থান: অফিস ঘরে যে স্থানে বসেন সেখানে কি বাইরের আলো বা রোদের তাপ একেবারেই পৌঁছয় না? তা হলে জ়েড প্ল্যান্ট বা পিস লিলির মতো গাছের সমস্যা হতে পারে। সরাসরি রোদ না দরকার হলেও অল্প হলেও রোদের তাপ বা আলো আসে এমন স্থান সালোকসংশ্লেষের জন্য জরুরি। যদি ডেস্কে একেবারেই রোদ না আসে তা হলে বারান্দায় বা যেখানে দিনে ঘণ্টা দুই হালকা সূর্যালোক পাবে এমন স্থানে গাছটি রেখে দিতে পারেন। কিছুক্ষণ রোদ পাওয়ার পরে গাছটিতে যথাস্থানে বসিয়ে রাখুন।
জল: কিছু গাছ জলেই বাড়ে। তবে জলে বেড়ে ওঠা গাছের জল সাধারণত প্রতি সপ্তাহে একবার পাল্টানো উচিত, কারণ এতে শিকড়ের সুস্থ বৃদ্ধি বজায় থাকে এবং জল দূষিত হয় না।
বেড়ে ওঠার শর্ত: সরাসরি বাতানুকূল যন্ত্রের হাওয়া আসে, এমন জায়গা গাছের অনুপযুক্ত। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র থাকলে যে হেতু ঘরের আর্দ্রতা কমে যায়, তাই গাছের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন। গাছ বেঁচে থাকা এবং বেড়ে ওঠার জন্য নির্দিষ্ট আর্দ্রতার প্রয়োজন। গাছের কাছে একটি খোলা পাত্রে জল রেখে দিতে পারেন। এতে আর্দ্রতার ঘাটতি পূরণ হবে। এসি থাকলে মাটি দ্রুত শুকিয়ে যাবে। মাটির উপরিভাগ শুকিয়ে গেলেই গাছে জল দিন। তবে বেশি জলও গাছের পক্ষে ক্ষতিকর। মাপ বোঝা জরুরি।