ঘরের মধ্যে ভ্যাপসা গন্ধ, স্যাঁতসেঁতে ভাব মোটেই ভাল লাগে না কারও। তা ছাড়া দিনের শেষে ঘরে ফিরলে মিষ্টি মধুর গন্ধ যদি ছড়িয়ে থাকে, মন ভাল হয় এক নিমেষেই। সেই জন্যই কি বাজারচলতি সুগন্ধী মোম ঘরে জ্বালিয়ে রাখছেন? স্প্রে করছেন রুম ফ্রেশনার?
আরও পড়ুন:
আমেরিকার গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট সৌরভ শেট্টি ইনস্টাগ্রামে পরামর্শ দিয়েছেন কৃত্রিম সুগন্ধির ব্যবহার এড়িয়ে চলার। তিনি বলছেন, এতে থাকে ফ্যালেট এবং বিপজ্জনক বেশ কিছু যৌগ, যা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
বদলে আর কী ব্যবহার করবেন, যাতে ঘরের ভ্যাপসা বা বিশ্রী গন্ধ দূর হবে, কিন্তু স্বাস্থ্যের হানি হবে না?
পুজোআচ্চায় ব্যবহৃত কর্পূর হতে পারে ভাল সমাধান। কর্পূর গাছের ছাল বা কাঠ তৈরি হয় এটি। দেখতে সাদা। কর্পূরের নিজস্ব সুমিষ্ট গন্ধও রয়েছে। কর্পূরের জীবাণুনাশক গুণ রয়েছে। তা ছাড়া, পোকামাকড় দূরে রাখতেও এটি বেশ কাজের। কী ভাবে ঘর সুরভিত করতে তা ব্যবহার করবেন?
১। পরিষ্কার সুতির কাপড়ে কর্পূরের টুকরো বেঁধে নিন। ওয়ার্ড্রোবে জামাকাপড়ের মধ্যে সেটি দিয়ে রাখুন। বর্ষায় কাঠের আলমারিতে ভ্যাপসা গন্ধ হয়। কর্পূর সেই গন্ধ দূর করে মৃদু সুবাস ছড়াবে।
২। স্নানঘরে ব্যবহারের চড়া সুগন্ধী অনেকেরই সহ্য হয় না। রাসায়নিক ব্যবহৃত এই সব উপকরণ শরীরের পক্ষে ভাল নয়। বদলে স্নানঘরের আনাচকানাচে বাটিতে করে কর্পূরের টুকরো রাখুন। এতে স্নানঘরের বিশ্রী গন্ধ দূর হবে।
৩। মনে করা হয়, কর্পূরে জীবাণুনাশক উপাদান রয়েছে। কর্পূরের টুকরো গুঁড়িয়ে ঘর মোছার জলে ফেলে দিন। তা দিয়েই বাড়ি পরিষ্কার করে নিন, ভ্যাপসা বা বিশ্রী গন্ধ দূর হওয়ার পাশাপাশি অন্দরে ছড়াবে মিঠে সুবাস।
৪। কফি টেবিলের উপরেই সুদৃশ্য কোনও ট্রেতে গোলাপের পাপড়ি এবং কর্পূরের টুকরো ছড়িয়ে রাখুন। দেখতে যেমন ভাল লাগবে, সুগন্ধও টের পাওয়া যাবে।