কমসময়েও গুছিয়ে নিন ঘর। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর আগে নিজেদের সাজগোজের প্রস্ততি ছাড়াও ঘর পরিষ্কারের একটা বাড়তি দায়িত্ব থাকে। পুজোর বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। নিজেদের সাজের পরিকল্পনার পাশাপাশি ঘরেও চাই উৎসবের ছোঁয়া। না হলে পুজো আসছে, সেটা ঠিক মনেই হয় না। তবে অফিস, বাড়ির কাজ, শপিং সব কিছু একসঙ্গে সামলে পুজো উপলক্ষে ঘর গোছানোর সময় পাননি অনেকেই। তা নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। তবে পুজোর আগে অযথা চিন্তা না বাড়িয়ে বরং কম সময়ে কী ভাবে ঘর সাজিয়ে ফেলা যায়, তা জেনে নিন।
১) এক দিনেই বাড়ির সব ঘর ঝেড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেবেন না। পুজো আসতে আর যে ক’দিন বাকি আছে একটা একটা করে ঘর ঝাড়তে শুরু করুন। প্রতি দিন একটি করে ঘর বেছে নিলে পরিশ্রম অনেক কম হয়। কাজটাও ভাল হয়।
২) আসবাব পরিষ্কারেরে জন্য একটি পাতলা কাপড় ব্যবহার করুন। অনেক সময় আসবাবের গায়ে ময়লা জমে চিট হয়ে যায়। তখন আর শুধু পাতলা কাপ়ড় দিয়ে পরিষ্কার করলে ময়লা যেতে চায় না। সে ক্ষেত্রে পাতলা কাপড়টি ডি়টারজেন্ট গোলা জলে ভিজিয়ে তার পর পরিষ্কার করুন।
২) অনেকেরই ঘরের মেঝেতে কার্পেট পাতা থাকা। বেশি দিন একই কার্পেট পাতা থাকলে দুর্গন্ধ হয়। ময়লাও হয় বেশি। কার্পেট এত ভারী হয় যে কাচতে পরিশ্রম হয় বিস্তর। পুজোর আগে এত পরিশ্রম করার দরকার নেই। মেঝেতে পাতা কার্পেটের উপর বেকিং সো়ডা ছড়িয়ে দিন। কিছু ক্ষণ রেখে বড় ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। দেখবেন দুর্গন্ধ চলে গিয়েছে।
৩) অন্দরসজ্জার ক্ষেত্রে পর্দা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই পুজোর আগে পর্দাগুলি মনে করে কেচে ফেলুন। অনেকেই ঘরের পর্দা খুলতে চান না। সেক্ষেত্রে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পর্দা পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
৪) ঘরের বিভিন্ন জায়গায় আয়না লাগিয়েছেন অনেকেই। উৎসবের মরসুমে আয়নাগুলি ঝকঝকে হওয়া চাই। জলে সামান্য ডিটারজেন্ট দিয়েও পরিষ্কার করে শুকনো কাপড় দিয়ে কাচ মুছে নিন। এতে কাচের দাগ উঠে যাবে।
৫) ইন্ডোর প্ল্যান্ট থাকলে টব, জমে থাকা শুকনো পাতা, ফুল ফেলে দিন। গাছের পাতা আলতো হাতে মুছে ফেলুন। এতে গাছও সতেজ থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy