কী ভাবে করবেন মুশকিল আসান? ছবি: সংগৃহীত।
অফিস থেকে ফিরে ঘরের এক কোণে জমিয়ে রাখেন প্রতি দিনের ব্যবহার করা পোশাক। খাট-বিছানা থেকে শুরু করে হেঁশেলের তাক— সবই অগোছালো হয়ে পড়ে থাকে। ছুটির একটা দিন কোথা থেকে গোছাবেন, বুঝে উঠতে পারেন না। এক দিনে গোটা সপ্তাহের কাজ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। সপ্তাহের মাঝে কেউ যদি বাড়িতে আসবেন বলেন, তখন তো আরও বিপদ! তার চেয়ে বরং কাজ অল্প থাকতে থাকতেই সেরে রাখা ভাল। তা হলে শ্রম এবং সময় দুই-ই বাঁচে। ঘরও পরিষ্কার থাকে।
১) বাড়িতেই এমন একটি হোম ক্লিনার তৈরি করে নিন, যা দিয়ে ঘরের টুকিটাকি অনেক কিছুই পরিষ্কার করে ফেলা যায়। ভিনিগার, কমলালেবু বা পাতিলেবুর খোসা, বেকিং সোডা দিয়ে সেই ক্লিনার তৈরি করে ফেলুন।
২) ঘুম থেকে উঠেই বিছানা পরিষ্কার করে নিন। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে বিছানা পরিষ্কার করার আশা না রাখাই ভাল। তখন শরীর বা মন কোনওটাই জুতের থাকে না।
৩) রান্না করার পরই হেঁশেল পরিষ্কার করে নিন। খুব বেশি কিছু সম্ভব না হলে গ্যাসঅভেন, গ্যাসটপ, উল্টো দিকের টাইল্সের দেওয়াল ক্লিনার দিয়ে মুখে নেওয়া যেতেই পারে। নোংরা রাখলে চলবে না। দেরি হলে কিন্তু নোংরা তুলতে হাত ব্যথা হয়ে যাবে।
৪) কাজ থেকে ফিরে শরীর চলে না। তাই খাওয়াদাওয়ার পর বাসনপত্র জমিয়ে রাখেন। সেখান থেকে গোটা ঘরে দুর্গন্ধ ছড়াতেই পারে। তাই এঁটো বাসন ফেলে না রাখাই ভাল।
৫) গোটা সপ্তাহ ধরে ব্যবহার করা পোশাক জমিয়ে রাখেন। সপ্তাহান্তে একটি ছুটি। ওই দিন সব কাচবেন বলে রেখে দেন। হঠাৎ যদি বাড়িতে অতিথি আসেন, তখন কিন্তু বিপদে পড়তে হবে।
৬) পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুতো পরার শখ। কিন্তু তা গুছিয়ে রাখার অভ্যাস নেই। বাড়ির সদর দরজার সামনে যদি কয়েক জোড়া জুতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে, তা হলে ঘরের কিন্তু সৌন্দর্য নষ্ট হবে। তার চেয়ে বাড়ি ফিরে জুতো রাখার নির্দিষ্ট জায়গায় তা গুছিয়ে তুলে রাখুন।
৭) হাতে সময় কম, তাই সারা ক্ষণই অনলাইনে কেনাকাটা করেন। জিনিসপত্র বার করে নেওয়ার পর পিচবোর্ডের কার্টনগুলি জমিয়ে রেখে দেন অনেকেই। ফাঁকা বাক্স জমিয়ে রাখলেই কিন্তু ঘর অপরিষ্কার হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy