রুক্ষ, ঊষর প্রকৃতিতেও যাতে তা টিকে থাকতে পারে, জলের অভাবেও মৃত্যু না হয় সেই জন্যই জন্ম হয়েছে ক্যাকটাসের। পরিবেশের সঙ্গে থাকতে থাকতে ঘটেছে অভিযোজন। মরু প্রান্তরে তীব্র তাপে বেড়ে ওঠা সেই ক্যাকটাসই এখন অন্দরের শোভা বাড়াচ্ছে। এসি আবাসনের সাজানো ঘরেও দিব্যি ঠাঁই হচ্ছে তার।
কাণ্ডে, পাতায় জল ধরে রাখার ক্ষমতা রয়েছে ক্যাকটাসের। বাষ্পমোচন কমিয়ে জল সংরক্ষণের জন্য এদের পাতা কাঁটায় রূপান্তরিত হয়। একইসঙ্গে পশুর আক্রমণের হাত থেকেও কাঁটা রক্ষা করে।ক্যাকটাসের বৈচিত্রময় রূপ, অল্প যত্নেই বেঁচে থাকার ক্ষমতা, দীর্ঘায়ু— এই ধরনের উদ্ভিদকে অন্দরসজ্জায় জনপ্রিয় করে তুলেছে।
তবে ক্যাকটাস মানেই কণ্টকিত গাছ নয়, কিছু ক্যাকটাসে কাঁটা থাকে না। কোনওটিতে রঙিন ফুলও ধরে। এমন কোন গাছ রাখবেন বারান্দার বাগানে?
ব্যারেল ক্যাকটাস: এর গোল আকারের জন্য এ রকম নাম। একাধিক রিব দিয়ে এর গায়ে ভাগ থাকে। সেই রিবের উপরে থাকে কাঁটা। মে-জুন মাস নাগাদ লাল, হলুদ ফুল ফোটে।
ওল্ড লেডি ক্যাকটাস: এই ক্যাকটাস বালিতেই ভাল হয়। ২৫০ প্রজাতির ওল্ড লেডি ক্যাকটাস পাওয়া যায়। বসন্তে গোলাপি ও বেগুনি ফুল ফোটে এই ক্যাকটাসে।
ক্র্যাব ক্যাকটাস: এই ক্যাকটাসের বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য ক্যাকটাসের তুলনায় শীতল আবহাওয়া প্রয়োজন। এর ফুলও ফোটে শীতেই। এই ধরনের ক্যাকটাস সচরাচর বাজারে পেয়ে যাবেন।
অন্যান্য গাছ যে মাটিতে হয়, সে রকম মাটিতে কিন্তু ক্যাকটাস হবে না। ঝুরঝুরে বালি মাটিতেই ক্যাকটাস বাড়ে ভাল। ক্যাকটাসের মাটি তৈরি করতে লাগবে ১০ শতাংশ বালি, ৪০ শতাংশ মাটি আর ৫০ শতাংশ পারলাইট। এর মধ্যে খানিকটা রক ডাস্ট মিশিয়ে দিলে আরও ভাল হয়। এ বার এই মাটি টবে ঢেলে অল্প জল দিয়ে তৈরি করুন ক্যাকটাসের মাটি। টবের উপরের দিকের মাটিতে ছোট ছোট পাথর, নুড়ি বা অ্যাকোয়ারিয়াম স্টোন রাখতে পারেন।ক্যাকটাসের শিকড় পোক্ত হতে কম করেও চার-পাঁচ মাস সময় লাগে। খেয়াল রাখতে হবে, ক্যাকটাসের শিকড় যেন পচে না যায়। সপ্তাহে এক থেকে দু’দিন গাছে জল দিলেই যথেষ্ট।