অন্দরসজ্জার জন্য ব্যবহার করা যায় এমন গাছের তালিকা নেহাত কম নয়। ফুলের গাছ থেকে পাতাবাহার, সাকুল্যান্ট অনেক কিছুই আছে। কিন্তু আপনি যদি এই ব্যাপারে অভিজ্ঞ না হন, বা গৃহসজ্জায় প্রথম বার গাছ ব্যবহারের কথা ভাবেন, তা হলে কেন বেছে নেবেন জ়েডজ়েড প্ল্যান্ট?
জ়ামিওকুলক্যাস জ়ামিফোলিয়া গাছটিও সংক্ষেপে জ়েডজ়েড প্ল্যান্ট নামে পরিচিত। সবুজ পাতার গাছটি দেখতেও ভাল। কাজের টেবিল হোক বা বৈঠকখানার কোণের টেবিল, সাজিয়ে রাখলে দিব্যি মানায়। তবে শুধু এটুকু নয়, এই গাছ বেছে নেওয়ার নেপথ্যে আরও কারণ আছে।
১। দূষিত বাতাস পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে গাছটি। বাতাসে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান যেমন ফরম্যাল ডিহাইডের মতো বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করে অক্সিজেনের জোগান দেয় গাছটি।
২। প্রথম বার গাছ কিনলে, গাছের পরিচর্যা কী ভাবে করা দরকার, অনেকেরই সে ধারণা থাকে না। এই গাছ স্বল্প যত্নেই বেড়ে ওঠে। তাই বিশেষ নজর দেওয়ার দরকার হয় না।
৩। স্বল্প সূর্যালোকেও এই গাছ মানিয়ে নিতে পারে। জানলার ধারে রাখলেই যথেষ্ট। চট করে শুকিয়ে যায় না।
আরও পড়ুন:
৪। এই গাছটি ঝাঁকড়া হয় না। লম্বায় বাড়ে। ফলে ঘর ছোট হলেও অসুবিধা নেই। স্বল্প পরিসরেও দিব্যি সাজিয়ে রাখা যায়।
৫। অনেক গাছই পরিচর্যার অভাবে মরে যায়। তবে জ়েডজ়েড প্ল্যান্ট তুলনায় বেশি শক্তপোক্ত। উপযুক্ত পরিবেশ না পেলেও চট করে শুকিয়ে যায় না বা নিস্তেজ হয়ে পড়ে না।
৬। গাছের কাণ্ড পুঁতে দিলে তা থেকেই নতুন গাছ হয়। ফলে এক বার গাছ কিনলে, তা থেকে আরও চারা তৈরি করা সম্ভব হয়।
৭। অল্প জলেও বেশ টিকে থাকতে পারে গাছটি। ফলে মাঝেমধ্যে জল দিতে ভুলে গেলেও তেমন সমস্যা হবে না।