ছবি: সংগৃহীত
হিরের দ্যুতি দেখলে এমনিতেই চোখ সে দিকে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু মাস ছয়েক আগে বিয়েতে পাওয়া আংটির অবস্থা দেখে সুজাতারই মন খচখচ করছে। কত ঘুরে, শখ করে পছন্দের দোকান থেকে এই আংটি কিনেছিলেন। সব সময় যে পরে থাকেন, এমনও নয়। কেনার পর যে রকম ঝলমলে ব্যাপার ছিল, তা হারিয়ে গিয়েছে। শুধু হিরের ক্ষেত্রে নয়, এমন সমস্যা হতে পারে যে কোনও দামি পাথরের ক্ষেত্রেই। সাধারণত সেগুলি দোকানে না দিলে পরিষ্কার করা দুরূহ বলেই ধরে নেওয়া হয়।
অনেকেই বাড়িতে সাবানজলে আংটি ভিজিয়ে রেখে পরিষ্কার করেন। তবে সব ধরনের পাথর এক রকম দ্রবণ দিয়ে পরিষ্কার করা যায় না। প্রতিটি মণির কাঠিন্য এক রকম নয়। যেমন প্রবাল এবং মুক্তোর মতো রত্ন, পোখরাজ বা চুনির মতো কঠিন নয়। তা ছাড়াও এই দু’টি রত্ন যেহেতু প্রাণীর দেহাংশ থেকে তৈরি, তাই কোনও রাসায়নিকের সংস্পর্শে এলে, তা নষ্ট হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। আবার, এক একটির স্পর্শকাতরতাও এক এক রকম। তাই পরিষ্কার করার আগে আংটিতে কী ধরনের মণি রয়েছে, আগে তা খুঁটিয়ে জেনে নেওয়া জরুরি।
১) হিরে
হিরের আংটি পরিষ্কার করার জন্য জলের সঙ্গে অ্যামোনিয়ার মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে। হাতের আংটিটি খুলে এই দ্রবণে কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। কিছু ক্ষণ পর, দাঁত মাজার ব্রাশ দিয়ে ঘষে আংটি পরিষ্কার করে নিন। আংটির যে অংশটি ত্বক স্পর্শ করে, সেই অংশ ভাল করে পরিষ্কার করবেন।
২) চুনি এবং পোখরাজ
উষ্ণ গরম জলে কয়েক ফোঁটা বাসন ধোয়ার তরল সাবান দিয়ে আংটি ভিজিয়ে রাখুন। একই ভাবে কিছু ক্ষণ পর পরিষ্কার একটি ব্রাশ দিয়ে আংটি পরিষ্কার করে ফেলুন।
৩) পান্না
অন্যান্য রত্নগুলির মতো পান্নাখচিত আংটি কিন্তু এই ধরনের কোনও দ্রবণে ভিজিয়ে রাখা যাবে না। তার বদলে হালকা গরম জলে ভেজানো নরম, সুতির কাপড় দিয়ে তা পরিষ্কার করে নিন। গায়ে মাখার তরল সাবানও ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সাবানগোলা জলে ভিজিয়ে রাখা যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy