Advertisement
E-Paper

প্রধান তিন টক্সিন ও তা দূর করার উপায়

শরীর ডিটক্স করার কথা সব ডায়েটিশিয়ানরাই বলে থাকেন। কিন্তু ডিটক্স করা ঠিক কাকে বলে? পরিবেশ, খাবার থেকে প্রতি দিনই কিছু বিষাক্ত পদার্থ আমাদের শরীরে পৌঁছয়। সুস্থ থাকার জন্য এই সব টক্সিন শরীর থেকে দূর করা প্রয়োজন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৭ ১৭:১৯

শরীর ডিটক্স করার কথা সব ডায়েটিশিয়ানরাই বলে থাকেন। কিন্তু ডিটক্স করা ঠিক কাকে বলে? পরিবেশ, খাবার থেকে প্রতি দিনই কিছু বিষাক্ত পদার্থ আমাদের শরীরে পৌঁছয়। সুস্থ থাকার জন্য এই সব টক্সিন শরীর থেকে দূর করা প্রয়োজন। অর্থাত্, শরীরকে ডিটক্স করা প্রয়োজন। তা না হলে শরীরে ঘটতে পারে রোগ জীবাণুর সংক্রমণ। যার ফলে বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতা থেকে তৈরি হতে পারে বড়স়়ড় ঝুঁকি। জেনে নিন কোন তিন ধরনের টক্সিন সবচেয়ে ক্ষতিকারক ও কী ভাবে তা থেকে দূরে থাকবেন।

১। মাইকোটক্সিন

মাইকোটক্সিনের মধ্যে রয়েছে মেরিন বায়োটক্সিন ও সায়নোজেনিক গ্লাইকোসাইড যা মাশরুম, ভূট্টা, সিরিয়াল, কফি বিনসের মতো খাবারে পাওয়া যায়। সাধারণত আফলাটক্সিন ও ওকরাটক্সিনের মতো মাইকোটক্সিন থাকে এই জাতীয় খাবারে। দীর্ঘ দিন ধরে এই টক্সিনের প্রভাবে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

কী ভাব এড়িয়ে চলবেন

ভূট্টা, গম, বার্লি, চিনি, চিজ, কফি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। সেই সঙ্গেই অ্যান্টিবায়োটিক যতটা সম্ভব কম খান। কারণ অ্যান্টিবায়োটিক মাইকোটক্সিন সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

২। পারসিসট্যান্ট অরগ্যানিক পলিউট্যান্ট

পারসিসট্যান্ট অরগ্যানিক পলিউট্যান্টা বা পিওপি পরিবেশে থেকে সরাসরি মানব শরীরে পৌঁছয়। ডাইঅক্সিন ও পলিক্লোরিনে়টেড বাইফেনাইলস পিওপি-র উদাহরণ। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পদ্ধতি ও বর্জ্য থেকে পরিবেশে পিওপি ছড়ায়। যা পশুদের ফ্যাটি টিস্যুপ মাধ্যমে অ্যানিমাল ফুড চেনে পৌঁছয়। এই ডাইঅক্সিন খুবই বিষাক্ত। মানুষের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়ার মতো ক্ষতি করতে পারে ডাইঅক্সিন। ক্যানসারের ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়তে পারে। এই ডাইঅক্সিন যদি এক বার শরীরে ঢোকে তা হলে সহজেই ফ্যাট টিস্যুতে শোষিত হয় ও অনেক দিন পর্যন্ত শরীরে থেকে যায়।

কী ভাবে এড়িয়ে চলবেন

৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে খাবারের মাধ্যমেই ডাইঅক্সিন শরীরে প্রবেশ করে। মাংস, দুগ্ধজাত খাবার, মাছ থেকে শরীরে ডাইঅক্সিন পৌঁছয়। ফ্যাটি মিট, নিম্ন মানের দুগ্ধজাত খাবার ও সামুদ্রিক মাছ কম খেলে ডাইঅক্সিনের প্রভাব কমাতে পারেন।

আরও পড়ুন: গরমে ত্বকের সমস্যা দূরে রাখতে আজ থেকেই করুন আইস থেরাপি

৩। ভারী ধাতু

পরিবেশে উপস্থিত ৩৫টি ভারী ধাতুর কারণেও শরীরে টক্সিন পৌঁছতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে পারদ, লেড, আর্সেনিক। এই ধরনের ধাতুর প্রভাবে স্নায়ুতন্ত্র ও কিডনির সমস্যা হতে পারে। সাধারণত জল, মাটি ও বায়ু দূষণ থেকেই এই সব ধাতু শরীরে পৌঁছয়।

কী ভাবে এড়িয়ে চলবেন

এই ধাতুগুলো দূষণের মাধ্যমে শরীরে ঢুকবেই। তাই ডায়েটের দিকে খেয়াল রেখে শরীরকে এই সব টক্সিনমুক্ত করতে হবে। গ্রেপফ্রুট, আনারস, ব্রকোলি, লেবু, সবুজ শাক সব্জি, গ্রিন টি খান নিয়মিত। স্নানের জলে সৈন্ধব লবণ দিলেও শরীর ডিটক্স করতে পারবেন।

Detoxification Toxin Green Tea
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy