ডায়াবেটিস।
ডায়াবেটিস মানেই ত্রাস! জীবন থেকে এক ধাক্কায় অনেক কিছু বাদ চলে যাওয়া! আপনি শুনলে অবাক হবেন যে, এমন প্রচুর মানুষ রয়েছেন, যারা প্রত্যেকবার খাওয়ার আগে ইনসুলিন নেন। সাবধান! এমনটা কিন্তু আপনার সঙ্গেও হতে পারে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে, আমরা যে ধরনের জীবনযাপন করি, তাতে ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এবং ভাবার বিষয় এটাই যে এর পরিমাণটা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
ভারতের মতো দেশে, ডায়াবেটিস হল সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে চলা রোগগুলির মধ্যে একটি। ২০১৭-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের ৪৬ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসের শিকার। অঙ্কের ভাষায়, সংখ্যাটা ৭২ মিলিয়ন। ২০২৫-এর মধ্যে যা দ্বিগুণ হতে চলেছে। সুতরাং এই রোগ এবং রোগের লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। আর সেই সঙ্গে এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন সুষম ডায়েটের।
ডায়েট এবং ডায়াবেটিস:
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়, ডায়াবেটিসের অর্থ হল রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়া। এটি দু'ধরনের হয়। টাইপ - ১ ডায়াবেটিস - যার কারণ হল, প্যানক্রিয়াসের ইনসুলিন উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাওয়া, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। টাইপ -২ ডায়াবেটিস - এই ক্ষেত্রে শরীর ইনসুলিনের প্রভাবে সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়, যা ইনসুলিন অসংবেদনশীলতা হিসেবেও পরিচিত।
নিয়ন্ত্রিত গ্লুকোজ এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ডায়েট, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ভীষণ ভাবে জরুরি। বাজারে যে ভোজ্য তেলগুলি রয়েছে, সেগুলির মধ্যে উচ্চ মাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং অত্যন্ত নিম্ন মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যেগুলি ইনসুলিন সংবেদনশীলতাকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করে। যে কারণে এই ধরনের তেলগুলিকে অত্যন্ত কম মাত্রায় গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। যার অর্থ হল, ভারতীয় ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে, বাড়ির তৈরি তেলেভাজা, কিংবা লুচি-পরটা, আলুর সবজিকেও বাদের তালিকায় ফেলে দেওয়া।
ভাজা-ভুজি ও কল্পনার নেপথ্যে
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের কম কিংবা বেশি, ভাজা-ভুজি খাওয়ার দরজা প্রায় বন্ধ বললেই চলে। এমনকী চিকিৎসক এবং ডায়াটেশিয়ানরাও, রান্নার সময়ে কয়েক ফোঁটার বেশি তেল ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে যাই হোক না কেন, ফরচুন ভিভো ওয়েল-এর মতো স্বাস্থ্যকর তেলের ক্ষেত্রে অবশ্য এই পরামর্শ প্রযোজ্য নয়।
কিন্তু কেন? ফরচুন ভিভো ওয়েল হল ভারতের প্রথম রান্নার তেল যা বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে ডায়াবেটিস-এ আক্রান্ত রোগীদের জন্যই। এই তেল শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অর্থাৎ এই তেলে রান্না করলে ভাজা-ভুজি খাওয়াটা বেশ ভালভাবেই উপভোগ করতে পারবেন ভারতীয় ডায়াবেটিক রোগীরা। তবে হ্যাঁ, সেটা অবশ্যই সীমিত পরিমাণে।
বলা বাহুল্য, বিশেষভাবে গবেষণার পরে, এই তেলটিকে বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড। এই তেল শরীরের কোষগুলির ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে তোলে। যা টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে, এই তেল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী।
শুধু ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যই নয়!
স্বাস্থ্যের দিকে একটু যত্ন বা খেয়াল রাখতে হলে, সমস্ত পরিবারই এই তেলটি গ্রহণ করতে পারেন এবং রোজকার রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। সারা ভারতে প্রচুর মানুষ রয়েছেন, যারা হাই ব্লাড সুগার বা প্রাক-ডায়াবেটিস রোগের শিকার। ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম হতে পারে।
ফরচুন ভিভো ওয়েল-এ রয়েছে স্বাস্থ্যকর ও ভারসাম্যমূলক ফ্যাটি অ্যাসিড। এটির ধোঁয়া ওঠার তাপমাত্রাও অনেক বেশি। রান্না এবং ভাজা-ভুজির জন্য এই তেল আদর্শ উদাহরণ। তাই এই তেল ব্যবহার করলে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত রোগীরা লুচি, পকোরা বা ধোসার স্বাদ থেকে বঞ্চিত থাকবেন না।
এমনকী, ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা, মাঝে-মধ্যে তাঁদের প্রিয় খাবারটি চেখে দেখতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, এই তেলটি কিন্তু কখনই কোনও ওষুধের বিকল্প নয়। আর সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন আবশ্যিক।
তবে হ্যাঁ, ফরচুন ভিভো ওয়েল-এর সঙ্গে সুস্থ জীবনযাপন করাটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। কেন না, প্রত্যেকের জীবনেই একটু মিষ্টির প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy