প্রতীকী ছবি।
অনেকটা তেলে কুড়মুড়ে করে মৌরলা মাছ ভাজলেন কিংবা মাছের তেলের বড়া ভাজলেন? ভাজার পর নিশ্চয়ই অনেকটা তেল কড়াইয়ে থেকে গেল। এই পড়ে থাকা তেল নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। তেলের যা দাম, তাতে এতটা তেল ফেলে দেওয়াও যায় না। আবার বেশির ভাগ সময়ে নীচটা পুড়ে কালো হয়ে যায় বলে সেটা ব্যবহার করা ঠিক হবে কি না, তা নিয়েও সকলে বিড়ম্বনায় পড়ে যান।
তবে এই কালো তেল পরিশুদ্ধ করার একটি উপায় রয়েছে। ধৈর্য ধরে করতে পারলে এই তেলে ফের রান্না করতে আর কোনও রকম অসুবিধা থাকবে না। তবে বলে রাখা ভাল, এক তেল বারবার ফুটিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই ২-৩ বারের বেশি এক তেলে রান্না করবেন না। এ বারে জেনে নিন কী করে তেল পরিশুদ্ধ করবেন।
তেল গরম করলে তার ঘনত্ব কমে। পাতলা হয়ে গেলে তেল ছেঁকে নিতেও সুবিধা হবে। তাই প্রথমে তেলটা একটি পাত্রে ঢেলে গ্যাসে বসিয়ে দিন। ভাল করে গরম হতে দিন। তেলের তাপমাত্রা অন্তত ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হওয়া প্রয়োজন। কী করে বুঝবেন? একটি কাঠি পাত্রে দিতে হবে। বুদবুদ কাটা শুরু করলে বুঝবেন তেল পর্যাপ্ত পরিমাণে গরম হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে যদি ফুড থার্মোমিটার থাকে, তা হলে তো কথাই নেই। সহজেই বুঝতে পারবেন তেল কতটা গরম হল।
ভাল করে গরম হয়ে যাওয়ার পর আঁচ বন্ধ করে দিন। তার পরে অন্য একটি পাত্রের উপর একটি চও়়ড়া ছাকনি বসিয়ে দিন। তার উপর একটি টিস্যু পেপার রাখুন। খুব দ্রুত এগুলি করতে হবে। তেল গরম থাকতে থাকতে তা টিস্যু পেপার দেওয়া ছাকনির উপর ঢেলে দিন। মনে রাখবেন তেল ঠান্ডা হয়ে হেলে ফিল্টার হতে অসুবিধা হবে। যত ক্ষণ তেল গরম এবং পাতলা থাকবে, তত ক্ষণ তাড়াতাড়ি ফিল্টার হয়ে যাবে। হয়ে গেলে সেই তেল ঘণ্টা খানেক রেখে দিন। দেখবেন একদম পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
মনে রাখবেন মাছ ভাজার তেলে খানিকটা মাছের স্বাদ থাকবে। তাই রান্নায় ব্যবহার করুন সে ভাবেই। ফ্রায়ে়ড চিকেন তৈরি করতে যে তেল ব্যবহার করে ছিলেন, চেষ্টা করুন সেটা চিকেনেরই কোনও পদ রান্না করার সময়ে ব্যবহার করতে। না হলে স্বাদ একটু হলেও হেরফের হয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy