মুরগি হোক বা পাঁঠার মাংস, ভারতীয় রন্ধন প্রণালীতে মশলার ব্যবহার চিরন্তন। সঠিক নুন, ঝাল, মশলার প্রয়োগ এবং সময় নিয়ে মাংস কষানো, ঢিমে আঁচে রান্না—এতেই লুকিয়ে স্বাদের চাবিকাঠি। কিন্তু মশলায় কী দেবেন? বাজারচলতি ‘মিট মশলা’ আছে ঠিকই, তবে ভাল মানের গরম মশলা কিনে বাড়িতেই কিন্তু বানিয়ে নিতে পারেন এমন মশলা। শুধু মাংস নয়, তরি-তরিকারির স্বাদ বৃদ্ধিতেও তা ব্যবহার করা যাবে।
উপকরণ:
আরও পড়ুন:
৪-৫টি তেজপাতা,
১০টি শুকনো লঙ্কা,
২-৩ টেবিল চামচ গোলমরিচ
৬-৮টি লবঙ্গ
২-৩টি বড় এলাচ
৮-১০টি এলাচ
১ চামচ জিরে
আধখানা জায়ফল
৩ টেবিল চামচ গোটা ধনে
৪টি দারচিনি
২-৩টি চক্রফুল
১ টেবিল চামচ কসৌরি মেথি
প্রণালী: কড়া গরম হতে দিন। গরম হলেও ধোঁয়া যেন না ওঠে। এমন তাপমাত্রা। সমস্ত উপকরণ দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে কোনও মশলাই যেন পুড়ে না যায়। ভাজার সঙ্গে সঙ্গে মশলা থেকে সুগন্ধ বরোবে। তারপর সেগুলি একটু ঠান্ডা হলে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। কাজের শিশিতে কয়েক মাস এই মশলা তৈরি করে সংরক্ষণ করা যায়।
কী ভাবে ব্যবহার
· মাংস রান্নার সময় এক চিমটে মশলা আগেই মাখিয়ে নিন। টক দই বা পেঁয়াজ, আদা, রসুনবাটা, নুন, তেল মাখিয়ে রাখার সময়েই মশলা দিতে পারেন সামান্য। এতে গন্ধ ভাল হবে।
· মাংস রান্নার একদম শেষধাপে এই মশলা ব্যবহার করুন। স্বাদ এবং গন্ধ দুই-ই ভাল হবে।
· কষা মাংস, মাংসের ঝোল, আলু দিয়ে মাংসের কারি-সহ বেশ কিছু রান্নাতেই এই মশলা ব্যবহার করা যায়।
· সব্জি রান্নার সময়েও এই মশলা ব্যবহার করা যায়। এঁচোড়, মাছের কালিয়ার মতো রান্নায় সামান্য একটু মশলা দিলেও স্বাদ বাড়বে।