এগরোল কিংবা চিকেন রোল বানানো যায় বাড়িতেই। অনেকেই তা বানানও। কিন্তু বাড়ির রোল আর বিশেষ রেস্তরাঁ বা দোকানের জনপ্রিয় কাঠি রোলের স্বাদে কিন্তু তফাত থেকেই যায়। উপকরণ এক, রান্নার কৌশল প্রায় একই। তবু স্বাদের ফারাক কেন হয়, বুঝতে পারেন না?
তা হলে রান্নার সময় কয়েকটি কৌশল মেনে দেখুন। হবুহু এক স্বাদ না হলেও, খেলেই মনে দোকানের কাঠি রোল সেটি।
১। ময়দা দিয়ে তৈরি হয় রোলের পরোটা। ময়দা মাখার সময় নুনের পাশাপাশি একটু চিনি আর ১ বা ২ টেবিল চামচ সাদা তেল বা ঘি যোগ করুন। সমস্ত উপকরণ শুকনো থাকা অবস্থায় মিশিয়ে নিতে হবে। তার পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে খুব ভাল করে ময়দা ঠেসতে হবে। ময়দা মাখা যত ভাল হবে পরোটাও ততটাই নরম হবে। ঘি বা সাদা তেলের ময়ানের জন্য বাইরে থেকে হবে মুচমুচে।
২। পরোটা বেলারও কায়দা হয়েছে। শুধু গোল করলেই হবে না। রেস্তরাঁর রোলের পরোটায় পরত থাকে। এ জন্য গোল করে বেলে নেওয়ার পর ছুরির সাহায্যে মধ্য ভাগে প্রান্ত পর্যন্ত কেটে নিন। উপর থেকে ময়দা ছড়িয়ে দিন। তার পর সেই কাটা অংশ থেকে বেলা রুটি গোল করে ঘুরিয়ে মুড়ে নিন। আবার বেলুন। এতে পরত তৈরি হবে।
৩। কাঠি রোলের জন্য দরকার হাড় ছাড়া মুরগির মাংস। কাঠি বা স্কিউয়ারে গিঁথে কবাব তৈরি হয় বলে, একে কাঠি রোল বলে। মুরগির মাংস ধুয়ে পাতিলেবুর রস, নুন, গোলমরিচ, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, গরম মশলা, আদা-রসুন বাটা মাখিয়ে নিতে হবে। গন্ধ এবং স্বাদ বৃদ্ধিতে, একটি পাত্রে গরম কাঠকয়লা রেখে উপর থেকে এক চামচ ঘি ঢেলে কাঁচা মাংসের মধ্যে সেটি বসিয়ে উপর থেকে ঢাকা দিন। এতে হালকা ধোঁয়া, গন্ধ যোগ হবে।
ঘণ্টাখানেক মশলা মাখিয়ে রাখার পর সরু কাঠিতে মাংসের টুকরো গেঁথে ওটিজি বা কবাব বানিয়ে নিন। ননস্টিক তাওয়াতেও উল্টে-পাল্টে সেঁকে কবাব করতে পারেন।
৪।পেঁয়াজ থেকে লঙ্কা কী ভাবে কাটছেন এবং মেশাচ্ছেন, তার উপরও স্বাদ নির্ভর করে। পাতলা করে পেঁয়াজ কুচিয়ে নিন। লঙ্কা কেটে নিন গোল করে।কড়াইয়ে অল্প তেল দিয়ে পেঁয়াজ, মাংসের টুকরো, কাঁচালঙ্কা, সামান্য কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে নাড়িয়েচাড়িয়ে নিন।
৫। পরোটা ভাল করে ভেজে তাতে ডিমের পরত দিন। সব শেষে ডিম-পরোটার মধ্যে দিতে হবে মাংসের টুকরো। উপর থেকে নুন, চাটমশলা এবং পাতিলেবুর রস দিতে ভুলবেন না। টম্যাটো বা চিলি সস্ বাদ দিয়েই এটি খাওয়া যায়। অনেক নামী জায়গাতেই কাঠি রোলে সসের ব্যবহার হয় না।