অফিসে যাওয়ার সময় থাকে, কিন্তু বেরোনোর নয়। ইদানীং এমন কর্ম সংস্কৃতির সম্মুখীন বহু মানুষ। সরকারি হোক বা বেসরকারি— বিভিন্ন পেশায় কাজের চাপ এতটাই বেশি থাকে যে মাথা ঠিক ভাবে কাজ করে না । তার উপর কাজের ভুলক্রুটি হলে তো কথাই নেই। ঊর্ধ্বতনের তিরস্কারও সহ্য করতে হয়।
এত চাপের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকেরই মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। কিন্তু চাপ থাকবেই, তার মধ্যে কাজও করতে হবে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলারও সহজ কিছু পন্থা রয়েছে। পুরোপুরি না হোক, এতে কিছুটা হলেও চাপমুক্ত হওয়া যায়। জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন:
১। ভীষণ দুশ্চিন্তা হচ্ছে? গ্রাহকের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বৈঠকের আগে বুক ধরফরানি শুরু হয়েছে? কাজের চাপে মাথা কাজ করছে না? সহজ উপায় হল চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। শিরদাঁড়া যেন টানটান থাকে। এবার গভীর ভাবে শ্বাস নিন। কয়েক সেকেন্ড ধরে রেখে আস্তে করে শ্বাস ছেড়ে দিন। বার কয়েক এমনটা করলেই বুক ধরফরানি, দুশ্চিন্তা একটু হলেও কমবে। ৪-৪-৪ নিয়ম মানতে পারেন। ৪ সেকেন্ড ধরে শ্বাস নিয়ে ৪ সেকেন্ড বাতাস ধরে রাখতে হবে। তার পর ৪ সেকেন্ড ধরে ছাড়তে হবে।
২। চেয়ারে বসে হালকা ব্যায়ামেও আরাম মিলবে। চেয়ারে বসেই পা, হাত স্ট্রেচ করতে পারেন। পা টান টান করে কয়েক সেকেন্ড থেকে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। নরম বল হাতে নিয়ে একবার হাত মুঠো করুন একবার খুলুন। ছোট ছোট ব্যায়ামে শরীরের আড় ভাঙবে। একটানা কাজের ক্লান্তিও কমবে।
৩।সুরের শব্দে কারও কারও কাজ ভাল হয়। মানসিক ক্লান্তি কাটানোর জন্যও তা ভাল। অন্যের অসুবিধা যাতে না হয় সে দিকে খেয়াল রেখে চেয়ারে বসেই হেডফোনে গান শুনুন। মিনিট দশেকের বিরতি নিয়ে পছন্দের গান শুনতে পারেন কিংবা পছন্দের সুর চালিয়ে কাজও করা যেতে পারে।
৪। কাজের ফাঁকে একটু হাঁটাহাটি উপকারী। তবে অনেক সময় এতটাই কাজ থাকে যে চেয়ার থেকে ওঠা যায় না। দরকারে, মিনিট পাঁচেক সময় নিয়ে চেয়ারে বসেই চা-কফিতে চুমুক দিন। স্বাস্থ্যকর কিন্তু মুখরোচক স্ন্যাক্স খান। হাতের কাছে ডার্ক চকোলেট রাখতে পারেন। যখন খাচ্ছেন, তখন কাজ থেকে পুরোপুরি বিরতি নেওয়াই ভাল।
৫। কম্পিউটার বা ল্যাপটপে বসে টানা কাজ করার ফলে চোখে ব্যথা হয়। চোখের জল শুকিয়ে যাওয়ার ফলে চোখ জ্বালা করে। তাই চোখের ব্যায়াম জরুরি। কম্পিউটার বা মোবাইলের পর্দা থেকে চোখ সরিয়ে দূরে কোথাও তাকান।৬০ সেকেন্ড অন্য কোথাও তাকিয়ে বা চোখ বন্ধ করে রাখুন। তার পর আবার কাজ শুরু করুন। মাঝেমধ্যে চোখের ব্যায়াম করলেও ক্লান্তি কমবে, আরাম হবে।
সবচেয়ে ভাল হয় কাজের মাঝে ছোট বিরতি নিলে। ঘণ্টা খানেক টানা কাজের পর ২ মিনিট পায়চারিও শরীরের পক্ষে ভাল। এতে কোমরে, কাঁধে ব্যথা হওয়ার প্রবণতা কমে। মনও তরতাজা হয়। ক্লান্তি কমে। মাঝেমধ্যে বিরতি নিয়ে চা খাওয়া, হাঁটাহাটি বা গল্প করলে চাপ কমবে।