কাজের চাপ তো কর্মক্ষেত্র মাত্রই থাকে। কিন্তু সেই চাপ সামলে যাঁরা ভাল থাকেন তাঁদেরই ‘বাজীগর কেহতে হ্যায়’! থুরি দক্ষ পেশাদার বলে। ঘাড় গুঁজে কাজ করা কোনও ভাল পেশাদারের লক্ষণ নয়। যিনি পেশাদার তিনি কাজের পাশাপাশি নজর দেবেন কর্মক্ষেত্রের সামাজিকতার দিকেও। মানসিক চাপমুক্ত হয়ে কাজ করার জন্যই সেই গুণ জরুরি। কিন্তু সেই গুণ আয়ত্ত করবেন কী ভাবে? রইল পাঁচ পরামর্শ।
কাজের পরিকল্পনা
প্রথমেই সারা দিনের কাজের একটি পরিকল্পনা বানিয়ে নিন। তার পরেও হাতে নতুন কাজ আসতেই পারে। সেই সব কাজের একটি তালিকা বানিয়ে গুরুত্ব অনুযায়ী ঠিক করে নিন কোনটা আগে সারবেন।
সময়ে নজর
অহেতুক কাজ জমিয়ে রেখে দেবেন না। আর খুব প্রয়োজন না হলে অফিসের কাজ বাড়িতে নিয়ে যাবেন না। কাজের সময়ে কাজ করুন, বিশ্রামের সময় বিশ্রাম। তাতে কাজ এবং বিশ্রাম দুই-ই ভাল হবে। না হলে কোনওটাই ঠিক ভাবে হবে না।
কর্মক্ষেত্রে সুসম্পর্ক
কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ না নিয়ে কাজ করার জন্য সহকর্মী এবং উর্ধ্বতনদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখাও জরুরি। টিম ওয়ার্কের ক্ষেত্রে এই পারস্পরিক সম্পর্কই কাজের গতিকে বেঁধে রাখে। অবশ্য সুসম্পর্কের সুযোগ নিয়ে সহকর্মীরা আপনার উপর বাড়তি কাজের ভার চাপাচ্ছেন কি না, সে বিষয়েও খেয়াল রাখুন।
আলোচনা
সুযোগ থাকলে কাজের ক্ষেত্রে অসুবিধা হলে সিনিয়রদের পরামর্শ নিন। এতে কাজ ভাল হওয়ার পাশাপাশি সুসম্পর্কও তৈরি হবে।
আড্ডা
অল ওয়ার্ক অ্যান্ড নো প্লে মেকস জ্যাক আ ডাল বয়। এই প্রবার অক্ষরে অক্ষরে সত্য। তাই ঘাড় গুঁজে শুধু কাজ করলেই চলবে না। কাজের ফাঁকে টুকটাক হাসি-মস্করা-আড্ডা সব অফিসেই হয়। এতে মন হালকা থাকে। তবে খেয়াল রাখুন, আড্ডার সময় যেন কাজের সময়ে ভাগ না বসায়।