বিরিয়ানি হোক কিংবা পায়েস, রান্নায় সুগন্ধ আনতে ফোড়নে তেজপাতা লাগবেই। তবে জানেনি কি, রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও এই তেজপাতা থেকে কত ধরনের উপকার পাওয়া যায়? তেজপাতার হরেক গুণ। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ থেকে হার্টের সমস্যা— বিভিন্ন রোগের ‘দাওয়াই’ হল তেজপাতা। শুধু তাই নয়, তেজপাতা পুড়িয়ে তার ঘ্রাণ নিলে মানসিক চাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া বাড়ির অন্যান্য কাজেও তেজপাতা ব্যবহার করতে পারেন।
তেজপাতা দিয়ে আর কী করতে পারেন?
১. অনেক সময়ই থালা-বাসন মাজার পরেও তাতে আঁশটে গন্ধ থেকে যায়। এ ক্ষেত্রে তেজপাতায় খানিকটা সাবান নিয়ে বাসনগুলি আর এক বার মেজে নিতে পারেন, দেখবেন সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে।
২. বর্ষাকালে ঘরে অনেক সময়ই একটা ভ্যাপসা গন্ধ তৈরি হয়। রাসায়নিক মিশ্রিত সুগন্ধি ঘরে না ছড়িয়ে বরং প্রাকৃতিক উপায় ভরসা থাকতে পারেন। এতে ঘরের ভ্যাপসা গন্ধ যেমন কেটে যাবে, তেমনই সুন্দর গন্ধ আপনাকে ভরিয়ে রাখবে। গোলাপের শুকনো পাতার সঙ্গে, পুরনো হয়ে যাওয়া তেজপাতা, দারচিনি, লবঙ্গ একটি পাত্রে রেখে উপর থেকে এসেনসিয়াল অয়েল ছড়িয়ে দিন। গোটা ঘরে সুন্দর গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে।
৩. তেজপাতা পেটের জন্য ভাল, হজমে সহায়ক। পুরনো তেজপাতা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন চা। গরম জলে তেজপাতা ভাল করে ফুটিয়ে নিন। জলটা ছেঁকে মধু দিয়ে খান। এতে পেটের সমস্যা যেমন মিটবে, ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা, কাশি হলেও আরাম মিলবে।
৪. পোকামাকড়ের হাত থেকে মুক্তি পেতে রান্না ঘরের বাসন রাখার জায়গা থেকে জিনিসপত্র রাখার জায়গায়, তেজপাতা ছড়িয়ে রাখুন। সেই গন্ধে আরশোলা, পিঁপড়ে দূরে থাকবে।
৫. প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন তেজপাতা। কয়েকটি তেজপাতা জলে ফুটিয়ে নিন। তার পর তেজপাতা-সহ জল মিনিট দশেক ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন জল। চুলে শ্যাম্পু করার পর এই জল চুলে মাখিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এর পর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।