মোটাকে ‘মোটা’ বোলো না। ছবি- সংগৃহীত
মজা করে বন্ধুর দেহের গড়ন, গায়ের রং নিয়ে খোঁচা দেওয়াও যে ঘৃণ্য অপরাধ, সেই শিক্ষা এ বার থেকে স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল সরকার।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ভি সিভানকুট্টি বলেছেন, “নিজের অজান্তেই বন্ধুর চেহারা নিয়ে, বা বন্ধুর চেহারার উদাহরণ দিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলার এই অভ্যাস শুরু হয় ছোট থেকেই।”
বিভিন্ন পরিবেশে বড় হওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা হয়তো মানে না বুঝেই বন্ধুদের উদ্দেশে এমন কিছু শব্দবন্ধ প্রয়োগ করে ফেলে, যার ফল কখনও কখনও মারাত্মক হয়ে ওঠে।
সম্প্রতি এমনই একটি অভিজ্ঞতার শরিক হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী স্বয়ং। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা তাঁর কোনও একটি ছবিতে, তাঁর পেটের আয়তন দেখে এক অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তাঁর মন্তব্যে ওজন কমানোর পরামর্শ দিয়ে বসেন।
“এ এক সামাজিক ব্যাধি। সমাজের বিভিন্ন স্তরেই এই সমস্যা দেখা যায়। ব্যক্তিবিশেষে বলার ধরন হয়তো বদলে যায়। কিন্তু ফলাফল একই থাকে।”
বুনিয়াদী স্তর থেকেই এই বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে স্কুলের পাঠ্যক্রমে তা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সচেতন করে তুলতে সরকারকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
শুধু তা-ই নয়, একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে এখনও পর্যন্ত অভিভাবকেরা ছেলের জন্য সুন্দরী, ফর্সা পাত্রী খোঁজেন। আর পাঁচজনের মতো সাধারণ চেহারা না হলে সে নিয়েও কথা শুনতে হয়। অনেকেই নিজের চেহারা, গায়ের রং নিয়ে অবসাদগ্রস্ত হয়ে নানা রকম ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, “সমাজ থেকে এই ব্যাধি চিরতরে নির্মূল হওয়া দরকার। উন্নত শুধু পোশাকে নয়, মানসিকতা দিয়ে হতে হয়। আমরা নিজেরাই নিজেদের উন্নত করে তুলি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy