Advertisement
E-Paper

বড়দিনে স্কুল, কলেজ অফিসে ‘সিক্রেট সান্তা’র খেলা এ দেশেও আজ অচেনা নয়, আসলে কে এই গোপন সান্তা?

বড়দিনে উপহার দেওয়ার চল তো কয়েকশো বছর আগেও ছিল। তবে গোপনে উপহার দেওয়ার চল বা ‘সিক্রেট সান্তা’র প্রচলন কোথায় শুরু হল? কবে থেকেই বা শুরু হল?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:২৭
‘সিক্রেট সান্তা’ আসলে কে?

‘সিক্রেট সান্তা’ আসলে কে? ছবি: সংগৃহীত।

এখন শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও ক্রিসমাসের উপহারের আশায় মুখিয়ে থাকেন। শিশুদের স্কুলেও শুরু হয়েছে একে অপরকে উপহার দেওয়ার রেওয়াজ! অফিস সহকর্মী থেকে বন্ধুবান্ধবকেও উপহার দেওয়ার চলও বেড়েছে। উপহার পেয়ে সকলেই খুশি হন বটে, তবে কে সেই উপহার দিলেন, তা নিয়ে রহস্য কিন্তু থেকে যায়। পশ্চিমে উপহার দেওয়ার এই চল বহু দিন ধরেই। ভারতে গত কয়েক বছরে ‘সিক্রেট সান্তা’র বিষয়টির জনপ্রিয়তা বেড়েছে।

বড়দিনে উপহার দেওয়ার চল তো কয়েকশো বছর আগেও ছিল। তবে গোপনে উপহার দেওয়ার চল বা ‘সিক্রেট সান্তা’র প্রচলন কোথায় শুরু হল? কবে থেকেই বা শুরু হল?

‘সিক্রেট সান্তা’র চল কিন্তু খুব বেশি পুরনো নয়। যদিও সিক্রেট সান্তার প্রচলন কে শুরু করেছিলেন, সেই বিষয়ে কোনও সঠিক নথি বা প্রমাণ নেই। অনেকেই মনে করেন, বছরশেষের ক্রিসমাসের সঙ্গে সান্টা ক্লজ় বলে যে মানুষটি অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িত, তাঁর আসল নাম সেন্ট নিকোলাস। অনেক জায়গায় তাঁর নাম আবার ফাদার ক্রিসমাসও। বিশ্বাস, তিনি ক্রিসমাস ইভ বা ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এবং মাঝরাতে ভাল ছেলেমেয়েদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাদের উপহার দিয়ে যান। খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকে সেন্ট নিকোলাস চুপিসাড়ে দরিদ্রদের উপহার বিলি করতেন, সেই থেকেই সিক্রেট সান্তার নামকরণ হয়েছে।

গোপনে উপহার দেওয়ার চল বা ‘সিক্রেট সান্তা’র প্রচলন কোথায় শুরু হল?

গোপনে উপহার দেওয়ার চল বা ‘সিক্রেট সান্তা’র প্রচলন কোথায় শুরু হল? ছবি: সংগৃহীত।

অনেকেই আবার মনে করেন, আমেরিকান সমাজসেবী ল্যারি ডিন স্টুয়ার্টই প্রথম এই বিষয়টি চালু করেন। ১৯৭৯ সালে আমেরিকার কানসাস শহরে ল্যারি বড়দিনের সময়ে দরিদ্র পরিবার এবং অভাবী মানুষজনের কাছে অর্থ ও কিছু উপহার পাঠাতে শুরু করেন। তিনি কখনওই চাইতেন না, তাঁর নাম কেউ জানতে পারুক। নাম গোপন রেখে ক্রিস্টমাস উপলক্ষে উপহার দেওয়ার চল প্রথম তিনিই শুরু করেন। কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি ‘কানসাস সিটির সিক্রেট সান্তা’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন। বছরের পর বছর ধরে তিনি নিজের জমানো পুঁজি গরিবদের দান করেন। ২০০১ সালে নিউইয়র্কে ৯/১১ হামলার পর, ল্যারি শহরের লোকেদের জন্যও হাজার হাজার ডলার দান করেছিলেন। অবশেষে মৃত্যুর আগে, ২০০৬ সালে ল্যারি তাঁর পরিচয় প্রকাশ করেন। ২০০৭ সালে তিনি ক্যনসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তবে নাম গোপন করে গরিব মানুষের পাশে থাকার ল্যারির এই প্রয়াস অনেককেই পরবর্তী কালে অনুপ্রাণিত করে।

সিক্রেট সান্তা নিয়ে আরও এক ধারণা প্রচলিত আছে। কেউ কেউ বলেন এই প্রথার উৎপত্তি স্ক্যান্ডিনেভিয়ায়। যেখানে গোপনে উপহার আদান-প্রদানের একটি পুরোনো প্রথা প্রচলিত আছে। এই প্রথা ‘জুলক্ল্যাপ’ নামে পরিচিত। সুইডিশ ভাষায় ‘জুল’ মানে বড়দিন এবং ‘ক্ল্যাপ’ মানে কড়া নাড়া। এই প্রথায় প্রতিবেশীর দরজায় কড়া নেড়ে, দরজার সামনে উপহার রেখে দেওয়া এবং কেউ দেখার আগেই দৌড়ে পালিয়ে যাওয়াই দস্তুর। গোপনীয়তা ও বিস্ময়ের উৎপাদনের পাশাপাশি, এই প্রথায় এক প্রকার রোমাঞ্চও আছে।

Christmas 2025 Santa Claus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy