অনলাইনে আর্থিক প্রতারণার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ছবি: সংগৃহীত।
সমাজমাধ্যমে পার্ট-টাইম কাজের বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেছিলেন। কাজে যোগ দেওয়ার মাসখানেকের মধ্যে ২০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন মুম্বইয়ের বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সি এক যুবক। অনলাইনে আর্থিক প্রতারণার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, গোটা দেশের বিভিন্ন থানায় প্রতি দিন প্রায় কয়েক হাজার আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ জমা পড়ে। ফের একই ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত অনেকেই।
ওই যুবক এমনিতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। পাশাপাশি অনেক দিন ধরেই অন্য একটি কাজের চেষ্টা করছিলেন। মাসখানেক আগে ফেসবুকে তিনি একটি কাজের সন্ধান পান। কাজটি মূলত বাড়ি বসেই। বাড়ি থেকেই করা যায়, এমনই কাজ খুঁজছিলেন তিনি। ফলে বিজ্ঞাপন দেখেই এক মুহূর্ত দেরি না করে তিনি আবেদন করেন।
আবেদন করার দিন কয়েকের মধ্যেই সংস্থার তরফে হোয়াট্স অ্যাপের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁকে বলা হয়, কাজটি করতে ইচ্ছুক হলে নাম, ঠিকানা এবং বাকি ব্যক্তিগত তথ্য সেখানে দিতে। সেই মতো ওই যুবক সমস্ত তথ্য দেন। টেলিগ্রামের একটি গ্রুপেও তাঁকে যুক্ত করা হয়। নিজেকে সংস্থার ম্যানেজার বলে পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে জানান, যে প্রথমে কিছু টাকা জমা দিতে হবে। ১৫ দিন পর বেতনের সঙ্গেই সেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে। যুবক ৫০ হাজার টাকা জমা দেন। মাইনের সঙ্গে সেই টাকা তিনি ফেরতও পেয়ে যান। এমন ভাবেই তিনি কিছু দিন আগে ২০ লক্ষ টাকা জমা দিয়েছিলেন। তাঁকে বলা হয়েছিল যে, এই টাকাটা জমা রাখলে মাইনের সঙ্গে আসল ছাড়াও তিনি কিছু বেশি টাকা পাবেন। সেই কারণেই তিনি এই পরিমাণ টাকা জমা রাখতে সম্মত হয়েছিলেন। কিন্তু বেতনের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা ঢুকছে না দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি ফোন করেন, কিন্তু কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। বুঝতে পারেন যে, তিনি জালিয়াতির শিকার হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy