প্রতীকী ছবি।
মেয়েদের ছোটবেলায় বাড়ি থেকেই কান ফোটাতে নিয়ে যায়। দুলও কিনে দেয়। কিন্তু বাঙালি বাড়িতে ছেলেদের ক্ষেত্রে তেমন কমই দেখা যায়। ফলে বড় হয়ে কান ফুটো করে দুল পরার ইচ্ছা হলে অনেক ভাবনা-চিন্তা করতে হয়। কী ধরনের দুল মানাবে, কোন কানে পরবেন, আরও কত কী!
নানা ধরনের দুল পরতেই দেখা যায় পুরুষদের। অনেক সময়ে তারকাদের দেখে সেই ধরনের গয়না কেনার ইচ্ছা হয়। যেমন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো কানে একটি বড়সড় হিরের দুল পরতে ইচ্ছা হতে পারে। কারও বা আবার চোখ টানে সলমন খানের মতো সোনা কিংবা প্ল্যাটিনামের কোনও দুল। তবে পুজোর সময়ে এক কানে ছোট্ট একটি পাথর বসানো দুল সাজে আনতে পারে উৎসবের চমক। আর তা যদি হয় চকচকে একটি সাদা হিরে, তবে তো কথাই নেই!
পুজোর আগে শখের হিরের দুলটি কেনার আগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল করুন।
১) মুখের আদলের সঙ্গে কেমন আকারের হিরে মানাবে, তা দোকানে গিয়ে পরে দেখুন। কারও মুখে গোল হিরের দুল মানানসই। কারও ক্ষেত্রে আবার একটু অন্য আকারের দুল বেশি ফুটে ওঠে।
২) সোনা দিয়ে বাঁধানো দুল অনেকেরই পছন্দ। কিন্তু সকলের গায়ের রঙের সঙ্গে সোনার রং মানানসই নয়। সে ক্ষেত্রে সাদা রঙের সোনা কিংবা প্ল্যাটিনাম দিয়ে বাঁধানো দুল দেখা যেতে পারে।
৩) কী ধরনের পোশাক পরবেন পুজোর সময়ে, সে কথাও মাথায় রাখতে হবে দুল কেনার আগে। সাবেক মেজাজের কুর্তা বা পাঞ্জাবির সঙ্গে অনেক রকম দুল মানানসই। কিন্তু পশ্চিমী ধাঁচের পোশাকের ক্ষেত্রে একটু কম কারুকাজ করা দুল সাধারণত বেশি মানায়। সে ক্ষেত্রে কোনও রকম কাজ ছাড়া শুধু একটি হিরে পরলেই সাজ সম্পূর্ণ হতে পারে।
৪) চেহারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হতে হবে হিরের মাপ। বড় দুল পছন্দ হলেই যে তা মুখের আদলের সঙ্গে মানাবে, তেমন নাও হতে পারে। ছিপছিপে চেহারায় অনেক সময়েই তুলনায় ছোট হিরে বেশি মানায়। কেনার আগে দোকানে তা এক বার পরে দেখাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy