নিজেকে স্লিম অ্যান্ড ফিট রাখার জন্য কত কিছুই তো করেন আপনি। নিয়ম করে জিমে যাওয়া বা বাড়িতেই হালকা ওয়ার্কআউটও করতে ভোলেন না। তবে জানেন কি ঘুম ভাঙা থেকে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত এমন অনেক কিছুই আপনি করে থাকেন, যেগুলো জিমে যাওয়া বা হালকা ব্যায়ামের থেকে কোনও অংশে কম নয়। তাই মাঝে মাঝে ওয়ার্কআউট-এ ফাঁকি দেওয়াই যায়।
১) জিনস: অনেকেই ঢিলেঢালা জিনস্ পড়তে পছন্দ করেন। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন জিনস্ পড়তে গেলে যাঁদের বেশ কসরত করতে হয়। স্কিন টাইট জিনস্ পড়া তাই এক ধরনের ওয়ার্কআউট।
২) ঢাকনা: ফ্রিজে অনেক দিন ধরে রাখা কোনও জার খুলতে গেলেও হাতের পেশীর জোর লাগে।
৩) চিত্কার: আপনি কি অত্যধিক জেদ করেন? আর জেদ পূরণ না হলে গলা ফাটিয়ে চিৎকার জুড়ে দেন। তা হলেই ভাবুন আপনি গলা থেকে পেটের পেশীর উপর কতটা চাপ পড়ে চিৎকারের সময়। এটাও তো এক ধরনের কসরতই হল।
৪) হাঁচি: ঠান্ডা লাগলে হাঁচিটাও কিন্তু এই ঘরানাতেই পড়ে। হাত –পা ছুড়ে জোরে হাঁচতে গেলে কষ্টও হয়।
৫) ভিড়: অফিসে যাওয়ার জন্য যাঁদের ট্রেন, বাসই ভরসা তাঁরা এই পয়েন্টটিকে খুব ভাল বুঝতে পারবেন। অফিস যাওয়া এবং ফেরার সময় ভিড় ঠেলে রোজ তাঁদেরকেই তো গন্তব্যে পৌঁছতে হয়।
৬) ব্যাগ: তেমনই রোজ কাঁধে করে ল্যাপটপের ভারী ব্যাগটা বয়ে নিয়ে যাওয়াটাও কম কিছু নয়।
৭) হাসি: আর সব শেষে রইল এই পয়েন্টটি। যা আমরা খুব টের পাই যখন অত্যধিক হাসি। বেশ কিছু ক্ষণ ক্রমাগত হাসলে মনে হয় দমবন্ধ হয়ে মারাই যাব এ বার। চাপ পড়ে পেটের পেশীতেও।
তাই রোজ নিয়ম মেনে জিমে নাই বা গেলেন। সে দিন না হয় এই কাজগুলো একটু বাড়িয়ে দেবেন। কিছু না হয় এক দিন একটু বেশি হাসতে তো পারেন। ব্যস তাহলেই কেল্লাফতে।
আরও পড়ুন: রবিবারটা হোক না একটু অন্যরকম
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy