ঘুম কমছে চাঁদের কারণে।
গত কয়েক দিন ধরেই কি আপনার ভাল ঘুম হচ্ছে না? কোনও অসুবিধাও নেই, তাই ভাবছেন কেন এমন হচ্ছে? চার-পাঁচ দিন আগেও তো তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যাচ্ছিল, এখন তবে আসছে না কেন? ভাবছেন কোনও অসুখের কারণে এমন হচ্ছে কি না? মনে রাখবেন, আপনার ঘুম কমে যাওয়ার পিছনে ভূমিকা থাকতে পারে চাঁদেরও। হালের এক গবেষণা এমনই বলছে।
বুধবার ‘সায়েন্স অ্যাডভান্স’ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, আমাদের ঘুম অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণ করে চাঁদ। পরিষ্কার করে বলতে গেলে, চাঁদের অবস্থান দায়ী আমাদের কম ঘুমের জন্য। পূর্ণিমা যত এগিয়ে আসে, রাতের আকাশে চাঁদের আলো বাড়তে থাকে। তারই সঙ্গে ঘুম কমতে থাকে মানুষের। আবার অমাবস্যা এগিয়ে এলে বাড়তে থাকে ঘুম।
এই গবেষকদল আলাদা আলাদা পরিবেশে বসবাসকারী মানুষের ঘুমের সময়ের পরিসংখ্যান নিয়েছেন। আর্জেন্তিনার প্রত্যন্ত গ্রাম, যেখানে বিদ্যুৎ এখনও পৌঁছয়নি, তেমন জায়গার মানুষও যেমন এই তালিকায় আছেন, তেমনই রয়েছেন মার্কিন দেশের প্রচণ্ড ব্যস্ত শহরের নাগরিকও। সব ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, চাঁদ আকাশে যখন উজ্জ্বল থাকে, তখন নিজের ঘরে বসেও কম ঘুম হয় মানুষের।
চাঁদের কারণে কেন এমন ঘুমের তারতম্য? এরও উত্তর দিচ্ছে গবেষণা। সেখানে দাবি করা হয়েছে, আদি যুগে মানুষ চাঁদের আলোকে রোজকার জীবনে কাজে লাগাত। তাই যখন যখন আকাশে উজ্জ্বল অবস্থায় থাকত চাঁদ, সে সব রাতে কম ঘুমোত তারা। সেই অভ্যাস মানুষের জিনে মিশে গিয়েছে। ফলে যে জায়গায় চাঁদের আলো পৌঁছয় না, সেখানেও এখন পূর্ণিমার রাত কম ঘুম হয় মানুষের।
তাই এর পর থেকে যদি কখনও অনিদ্রায় ভোগেন, দেখে নেবেন আকাশে চাঁদের হাল। প্রয়োজন হলে অনিদ্রার কিছুটা দায় তার গায়ে চাপাতেই পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy