আচমকা বাজারে অঢেল ইলিশ জোগান।
জেলার বাজারে ঢল নেমেছে ইলিশের। ফলে এক লাফে অনেকটাই দর নেমেছে ইলিশের।
কয়েক দিন আগে পর্যন্ত ইলিশে হাত ছিলে ছ্যাঁকা লাগছিল। উধাও হয়ে গিয়েছিল মধ্যবিত্তের পাত থেকে ইলিশ। এর মধ্যে বুধবার দিঘা থেকে ইলিশ এসেছে জেলার বাজারে। চাহিদার তুলনায় জোগান বেড়ে যাওয়ায় রাতারাতি ইলিশের বাজার-দর কমে গিয়েছে। সোমবার ইদের দিনে ৫০০-৬০০ গ্রামের যে ইলিশের বাজার দর ছিল ৮০০ টাকা, বুধবার সেই ইলিশ ৫০০-৬০০ টাকা কিলো। তবে বড় ইলিশের বাজার দর একই রয়েছে। বড় ইলিশের এখনও সে ভাবে জোগান না থাকায় দামের কোনও বদল ঘটেনি। তবে সদ্য কোরবানি উৎসব যাওয়ায় এখনও সে ভাবে ইলিশ কেনার চাহিদা ছিল না। ভিড় ছিল না মাছের বাজারেও।
আচমকা বাজারে অঢেল ইলিশ জোগানের রহস্য কি ? ফরাক্কার পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী রণজিৎ সরকার বলছেন, “দিঘা-সহ সমুদ্রের উপকূলবর্তী এলাকায় গত দু’দিনে অন্তত ২০ টন ইলিশ ধরা পড়েছে। এত দিন যা অমিল ছিল। ইলিশেরই আমদানি হয়েছে জেলার বিভিন্ন বাজারে। তবে সেই সব ইলিশ ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের বেশি নয়। ছোট ইলিশের দাম কমেছে প্রায় ৩০০ টাকা।’’ তবে বাজারে বড় ইলিশের জোগান এখনও নেই বললেই চলে। নিমতিতা থেকে ফরাক্কা পর্যন্ত গঙ্গার অববাহিকায় আগে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মিলত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সেখানে ইলিশের দেখা নেই। সাগরদিঘির পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী সোমনাথ ঘোষ বলছেন, ‘‘বাংলাদেশেও এখন প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। গত ৬৫ দিন ধরে বাংলাদেশে ইলিশ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল। গত ২৩ জুলাই ওই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে সেখানেও ইলিশের জোগান বেড়েছে। ফলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পদ্মার ইলিশও বাজারে আসতে শুরু করবে। সে ক্ষেত্রে পুজোর মুখে চাহিদা অনুযায়ী
ইলিশ মিলবে।’’ ফরাক্কা ব্যারাজের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, প্রজননের কারণে প্রতি বছর ৭-২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পদ্মা নদী নিমতিতার পরে মিশেছে গঙ্গায়। সেই পদ্মার বাঁক দিয়ে ইলিশের ঝাঁক প্রতি বছর ফরাক্কা অভিমুখে আসে। এখন ফরাক্কায় গেট খুলে ফিস ল্যাডার বসানো হচ্ছে। ফরাক্কার আপ-স্ট্রিম দিয়ে চলে যেতে পারবে বাংলাদেশের সেই ইলিশের ঝাঁক। পটনার পথেও চলে যেতে পারবে ইলিশ সহজেই। বর্ষার সময় পদ্মা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে বাংলাদেশের ইলিশ এসে গেট দুটির চেম্বারে ডিম পাড়তে পারবে। তখন স্থানীয় গঙ্গাতেও ভাল ইলিশ মিলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy