সুস্থ জীবনযাপন করতে শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না। সময়ে খাবার খেতেও হবে। ঘড়ি ধরে খাবার খাওয়ার উপকারিতা কম নয়। সময়মতো যদি বাইরের খাবারও খান, বিশেষ সমস্যা হবে না। একটি নির্দিষ্ট সময়ে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়ার উপকারিতা কমবেশি সকলেই জানেন। তবে জেনেও সব সময়ে নিয়ম মেনে চলা সম্ভব হয় না। ব্যস্ততম জীবনে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয় খাওয়াদাওয়ায়। অফিসে কাজের ফাঁকে সময়ে খাওয়ার সুযোগ নেই। কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতেও অনেকটা দেরি হয়ে যায়। ফলে খেতে খেতে সেই মধ্যরাত। আবার কখনও তাড়াতাড়ি বাড়ি এলে ঠিকঠাক সময়ে খাওয়া হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, রাতের খাবার খাওয়ার সময়ে একটা ধারাবাহিকতা থাকা জরুরি। ৯টার মধ্যে খেয়ে নেওয়া যদি সম্ভব না হয়, তা হলে রোজ একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। রোজ একই সময়ে রাতের খাবার খেলে কী কী সুফল মিলবে?
হজমের উন্নতি
হজমের গোলমাল বাঙালির নিত্যদিনের সঙ্গী। ওষুধ খেয়ে গোলমাল খানিকটা সামলানো যায় বটেই। তবে সেটা সাময়িক। হজমের উন্নতি করতে রোজ একই সময়ে খাবার খাওয়া অভ্যাস করুন। রোজ আলাদা আলাদা সময়ে খাবার খেলে হজমের গোলমাল পিছু ছাড়বে না।
অম্বলের ঝুঁকি কমবে
রোজ একই সময়ে খাবার খাওয়ার অন্য একটি সুফল হল অম্বলের ঝুঁকি কমে। চোয়া ঢেঁকুর, বুক জ্বালার মতো সমস্যা তো নিত্যদিনের। শুধু খাওয়াদাওয়ার অনিয়মে নয়, ভুল সময়ে খাবার খাওয়ার ফলেই এমন হয়। রোজ একটা নির্দিষ্ট সময়ে খেলে এই ধরনের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
পেটের অস্বস্তি কমবে
কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটায় পেটেব্যথা, পেটে যন্ত্রণার মতো সমস্যা। শারীরিক অস্বস্তির হাত থেকে মুক্তি পেতে সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা জরুরি। রোজ রাতে যদি একটি নির্দিষ্ট সময়ে খেতে পারেন তা হলে গ্যাস-অম্বল, পেটব্যথার সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি মিলবে।