পোষ্যেরা তাদের আবেগ লুকিয়ে রাখতে পারে। সাধারণত সারমেয়রা খুশি হলে তা সহজেই বোঝা যায়। কেউ লেজ নাড়ে, কেউ আবার মুখে শব্দের মাধ্যমে তা প্রকাশ করে। কিন্তু পোষ্য যদি কখনও উদ্বেগ বা ক্লান্তিতে ভোগে, তা বোঝা কঠিন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি পরামর্শ জানা থাকলে সুবিধা হবে।
আরও পড়ুন:
১) পোষ্য যদি বাড়িতে কোনও একটি স্থানে স্থির হয়ে না বসে, তা হলে সতর্ক হওয়া উচিত। হয়তো সে সারা বাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কিন্তু শান্ত হতে পারছে না। বুঝতে হবে, পোষ্য উদ্বেগের শিকার। এ ক্ষেত্রে পোষ্যের চারপাশের পরিবেশ শান্ত হলে সুবিধা হবে। আলো কমানো বা টিভির শব্দ কমিয়ে দিলে তাদের সুবিধা হবে।
২) পোষ্য যদি ঘন ঘন হাই তোলে বা বার বার ঠোঁট চাটে, তা হলে বুঝতে হবে সে ক্লান্ত। তার চোখ বন্ধ হয়ে আসাও ক্লান্তির লক্ষণ হতে পারে। এ রকম পরিস্থিতিতে তাকে জোর করলে পোষ্য চিৎকার করে বিরক্তি প্রকাশ করতে পারে। এই সময়ে তাদের নিজের মতো সময় কাটাতে দেওয়া উচিত। উঁচু স্বরে কথা বলা উচিত নয়। সম্ভবত একটু ঘুমের পর তাদের মন আবার ভাল হতে পারে।
৩) পোষ্য সারমেয় যদি লেজ না নাড়ে, কান দু'টি যদি পিছনের দিকে থাকে বা মাথা নিচু করে থাকে, তা হলে বুঝতে হবে, সে কোনও কারণে ভীত। তীব্র শব্দ বা ক্রমাগত বকাবকির ফলে পোষ্যের মনে ভয় বা উদ্বেগের জন্ম হতে পারে। এ রকম ক্ষেত্রে দ্রুত তাদের সমস্যার কারণ শনাক্ত করে তাদের নিরাপদ এবং নিস্তব্ধ পরিবেশে নিয়ে যাওয়া উচিত। সময়ের সঙ্গে তারা উদ্বেগ কাটিয়ে উঠতে পারবে।
৪) পোষ্য যদি হঠাৎ করে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেয় বা ঘুমোতে না পারে, তা হলে বুঝতে হবে, সে উদ্বেগে আক্রান্ত। উদ্বেগ থেকে পোষ্যের খাওয়ায় অরুচি হতে পারে। আবার পোষ্য যদি হঠাৎ করে অতিরিক্ত খাবার খেতে শুরু করে, তা হলেও সাবধান হওয়া উচিত। পোষ্য দু’দিনের বেশি খাবার না খেলে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
৫) পোষ্য যদি চোখের দিকে না তাকায় বা সব সময়ে বাড়ির কোণে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করে, তা হলে সতর্ক হওয়া উচিত। অনেক সময় উদ্বেগ বা ক্লান্তি দেহে বাসা বাঁধলে ডাকলেও তারা সাড়া দেয় না বা কাছে এগিয়ে আসে না। এ রকম ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে বসে সময় কাটানো উচিত। তাদের গায়ে হাত বুলিয়ে দেওয়া বা তাদের প্রিয় খেলার মাধ্যমে পোষ্যের মন ভাল হতে পারে।