বিড়াল পুষতে চান? কবে নতুন অতিথি ঘরে আসবে দিনক্ষণও ঠিক। কিন্তু চারপেয়ে শাবক আসার আগে তার থাকার জায়গাটি প্রস্তুত করেছেন কি? বিড়ালছানা মানেই তার জন্য যত্ন এবং নজরদারির প্রয়োজন। নতুন অতিথি ঘরে আনার আগেই জেনে নিন তার জন্য কোনটা ভাল, কোনটা মন্দ।
১. ছানা হলেও পোষ্যের জন্য খাবার বাটি, বিছানা সবটাই দরকার। বাড়িঘর পরিচ্ছন্ন রাখাটাও সেই তালিকাতেই পড়ে। বিড়াল শাবক কোনও কিছু মুখে দিয়ে ফেলতে পারে, সে কারণে মেঝে পরিষ্কার জরুরি। পাশাপাশি ধারালো জিনিস, কাচের ফুলদানি বা চট করে ভেঙে যেতে পারে এমন জিনিসপত্র পোষ্যের নাগালের বাইরে রাখলেই ভাল।
২. বিড়াল ছানার জন্য নির্দিষ্টি বিছানা পাওয়া যায়। পাশাপাশি তার প্রস্রাবের জন্য ‘লিটার বাক্স’-এর ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত সেটি পরিষ্কারও করতে হবে। না হলে তা থেকে পোষ্যের সংক্রমণ ঘটতে পারে, বাড়িতেও দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে।
৩. অন্য একটি পরিবেশ থেকে নতুন পরিবেশ আসার পর পোষ্যের মানিয়ে নিতে সময় লাগে। বিশেষত বিড়াল শাবক ভয় পেতে পারে। উদ্বেগ কাজ করলে তার প্রভাব পড়বে আচরণ এবং খাওয়াতেও। এ ক্ষেত্রে তাকে ধাতস্থ হতে সময় দেওয়া দরকার। একটি বাক্স রাখতে পারেন তার থাকার জায়গার কাছাকাছি। যেখানে সে নিজেকে আড়াল করতে পারবে।
আরও পড়ুন:
৪. পোষ্য আনার আগেই বাড়ির জানলাগুলি জাল দিয়ে আটকে দেওয়া দরকার। কারণ জানলার সামান্য ফাঁক গলেই তাদের বেরিয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। পাশাপাশি জানলার আশপাশে ধারালো বা এমন কোনও জিনিস রাখা যাবে না যাতে পোষ্যের আঘাত লাগতে পারে।
৫. পরিবেশে বদল হলে কখনও কখনও বিড়াল খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে পোষ্যের পুষ্টির দিকে নজর দিতে হবে। সম্ভব হলে যেখান থেকে তাকে আনা হয়েছে সেখানে যে খাবার খেত শুরুতে সেগুলি দেওয়া যেতে পারে।
৬. পোষ্যদের পুষ্টিবিদ অঞ্জলি কালাচাঁদ বলছেন, ‘‘বিড়াল ছানাকে ৩ মাস বয়েস পর্যন্ত অল্প করে খাবার বার বার খাওয়াতে হবে। প্রথম দিকে তাদের সারা দিনে ছ’বার খাওয়াতে হবে। ৬ মাস হলে খেতে দিতে হবে দিনে ৩ বার। তবে প্রয়োজনে সারা দিনে দু’বারও খাওয়ানো যেতে পারে।’’ বিড়াল চট করে জল খেতে চায় না। তা থেকে শারীরিক নানা সমস্যা দেখে দিতে পারে। অঞ্জলির পরামর্শ বিড়ালের খাবার তালিকায় তরল খাবার রাখলে কিছুটা সুবিধা হতে পারে। তিনি বলছেন, বয়স অনুযায়ী ডায়েট বদলাবে। তবে তাতে মাছ, মাংস রাখতেই হবে। আর দরকার মাপমতো ফাইবার, ফ্যাটি অ্যাসিড।