বাড়িতে সারমেয়টি বেশ মিশুকে। কিন্তু মাঝেমধ্যেই যখন চিৎকার করতে শুরু করে, তখন পাড়া অতিষ্ট করে তোলে। পোষ্যের প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে চিৎকার। কখনও বাড়িতে নতুন অতিথি এলে বা তার অপছন্দের কোনও বিষয়ের ক্ষেত্রে সে চেঁচিয়ে জবাব দিতে চায়। অথবা পরিস্থিতির পরিবর্তন চায়। কিন্তু চিৎকার মানেই পোষ্যের ক্রোধ নয়, বরং সঠিক পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দিলে তার এই স্বভাবে পরিবর্তন আনা সম্ভব।
আরও পড়ুন:
১) পোষ্য কী কারণে চিৎকার করছে, তা সবার আগে জানার চেষ্টা করা উচিত। তারা যখন চিৎকার করছে, তখন তাদের বকাবকি করা উচিত নয়। তার ফলে চিৎকার আরও বাড়তে পারে। সেই সময়ে তাদের কাছে টেনে নিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলে সমস্যার সমাধান হতে পারে।
২) ব্যায়ামের মাধ্যমে মানুষের মতো পোষ্যের মন শান্ত করা সম্ভব। তাই যে সমস্ত কুকুর নিয়মিত খেলাধুলোর সুযোগ পায় বা বাড়ির বাইরে হাঁটতে বার হয়, তাদের ক্ষেত্রে সময়ের সঙ্গে চিৎকারের স্বভাব কমে আসে।
৩) অনিশ্চয়তার কারণে অনেক সময়ে পোষ্য চিৎকার করতে পারে। তাই সময়ের সঙ্গে তার আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা তৈরি হলে চিৎকারের অভ্যাস বন্ধ হবে। তার জন্য পরিবারের সদস্যেদর তার সঙ্গে সময় কাটানো উচিত। অনেক সময়ে ভিড়ের মধ্যে পোষ্য অভ্যস্ত হলেও তার মনোবল বৃদ্ধি পায়।
৪) পোষ্যেরা আদেশ পালন করতে পছন্দ করে। ছোট ছোট কাজ তাদের করতে দিলে (খাবরের কাগজ নিয়ে আসা, খেলনা নির্দিষ্ট স্থানে রাখা) তাদের মন শান্ত থাকে। খেলাধুলো, ডায়েট এবং স্নানের মাধ্যমেও পোষ্যের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। তার ফলে তার অভিযোগের মাত্রা কমবে।
৫) বাড়িতে বা বাইরে খাঁচার মধ্যে থাকার প্রশিক্ষণ দিতে পারলে সুবিধা হতে পারে। খাঁচাটির মধ্যে খাবার এবং জল থাকবে। সঠিক প্রশিক্ষণে সেটিই তার নিজস্ব জগৎ হয়ে উঠতে পারে। ফলে অকারণে চিৎকারের পরিস্থিতি কমে আসবে। খাঁচা অনেক সময়ে পোষ্যের ব্যক্তিগত জায়গা, বিশ্রাম এবং মানসিক শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।