পোষ্য বিড়ালটিকে আদরে রেখেছেন, কিন্তু সে ভাল আছে তো? বুঝবেন কী ভাবে?

সেই ছোট্ট থেকে কোলে-পিঠে বড় করেছেন। তাকে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো, খেয়াল রাখতে গিয়ে কবে যেন বাড়ির সদস্য হয়ে গিয়েছে আদরের মার্জার। তাকে আদর করছেন, খাওয়াচ্ছেন। কিন্তু আপনার বাড়িতে সে সত্যি ভাল আছে তো! কী ভাবে বুঝবেন তার মনের কথা।

ডাকের অর্থ: দিন শেষে পায়ে পায়ে ঘুরে মিঁয়াও বলে ডেকে ওঠে মার্জার। আদরটা ধরে ফেলা যায়। কিন্তু একই ভাষায় আর কী বলতে চায় সে! বিড়ালের শরীরী ভাষা পড়তে পারলেও, তাকে চেনা সহজ হতে পারে। লেজ উঁচিয়ে সে যেমন বন্ধুত্বের ইঙ্গিত দেয়, তেমনই ক্ষেত্র বিশেষে রাগের প্রকাশও লেজ খাড়া করেই করে সে। ধরনটা আলাদা হয়।

পরিবেশ: পোষ্যের নিরাপত্তা, বেড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করাটাও জরুরি। দৈনন্দিন জীবনে জল, খাবার, প্রস্রাবের স্থান, খেলার জায়গার প্রয়োজন হয় বিড়ালের। কখনও সে নখও ঘষে। প্রতিটি প্রয়োজন সঠিক ভাবে পূরণ হচ্ছে কি না দেখা দরকার। একই সঙ্গে নজর দিতে হবে পরিচ্ছন্নতাতেও। বিড়ালকে আদর করা, তার মন বোঝার চেষ্টা, তার সঙ্গে খেলাধুলো করলে, পোষ্যেরও মন ভাল থাকে।

প্রস্রাবের পাত্রটি পরিষ্কার করেন কি?

প্রস্রাবের স্থানটি নির্দিষ্ট করার জন্য বিশেষ পাত্র ব্যবহার হয়। সেটি নিয়মিত পরিষ্কার করেন কি? বিড়াল কিন্তু নিজেকে পরিষ্কার রাখতে পছন্দ করে। স্বাভাবিক ভাবে নোংরা প্রস্রাবের পাত্র বা ট্রে শুধু অস্বাস্থ্যকর নয়, পোষ্যের অপছন্দও হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ায় অতীতে ১২০০ বিড়ালকে নিয়ে সমীক্ষা হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে যে বাড়িতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রস্রাবের পাত্রটি পরিষ্কার করা হয় না, সেই সব বাড়ির বিড়ালের মূত্রের ধরন পাল্টেছে। প্রস্রাব জনিত সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।

স্থান: বাড়িতে একাধিক বিড়াল রয়েছে? তাদের থাকার জায়গাও একই? সব সময় যে দুই বা তার চেয়ে বেশি সংখ্যক বিড়ালে ঝগড়া, মারামারি হয়, তা নয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিড়ালদের মনেও স্থান, খাবার নিয়ে চাপা উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। এই দিকগুলি উপেক্ষা না করাই ভাল।

সুরক্ষা: বিড়ালকে বাড়িতে রাখলেও অন্য প্রাণীর আক্রমণের মুখে পড়তে পারে সে। বাইরে যেতে দিলে সংক্রমণ হওয়াও আশ্চর্য নয়। তাই বিড়ালের নিরাপদে চলাফেরা, অন্য প্রাণী থেকে তাকে বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করা দরকার।