Advertisement
E-Paper

সন্তান খেলাধূলা করতে চায় না? মোবাইল নিয়েই বসে থাকে? ওকে শরীরচর্চায় অভ্যস্ত করাবেন কী ভাবে?

সন্তান সারা ক্ষণ মোবাইল নিয়েই রয়েছে। বাইরে বেরোতে বললেই জেদ করে। কী ভাবে সন্তানকে ছোট থেকে শরীরচর্চার অভ্যাস করাবেন, জেনে নিন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ১৮:২২
শিশুরাও শরীরচর্চায় উৎসাহ পাবে, সহজ কৌশল জেনে নিন।

শিশুরাও শরীরচর্চায় উৎসাহ পাবে, সহজ কৌশল জেনে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।

স্কুল থেকে ফিরেই হইহই করে বাইরে বেরিয়ে খেলাধূলা এখন আর কোথায় হয়! মাঠে গিয়ে কাদা মেখে ফুটবল খেলার দিনও শেষ হতে চলেছে প্রায়। এখনকার ছেলেমেয়েরা ঘরে বসে মোবাইল-ট্যাব দেখতেই অভ্যস্ত। বাইরে বেরোতেই চায় না। ছুটির দিনটাও আলসেমিতেই কাটিয়ে দেয়। মোবাইল না দিলে আবার কান্নাকাটি, চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। লকডাউনের সময় থেকেই অবস্থার এমন বদল হয়েছে বলে মনে করছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁরও সন্তান রয়েছে। তিনি জানালেন, কোভিড অতিমারির সময়ে শিশুদের বাইরে বেরোতে দেওয়া হত না। চার দেওয়ালে বন্দি থাকতে থাকতে তাদের মধ্যে আলস্য বেড়েছে। খেলাধূলার উৎসাহ অনেক কমে গিয়েছে। কিন্তু এই অভ্যাস স্বাস্থ্যকর নয়। তাই অতিমারি পরবর্তী সময়ে গিয়ে দেখা গিয়েছে, অনেক শিশুই স্থূলত্বের শিকার হয়েছে।

ছোট থেকেই শিশুদের শরীরচর্চার অভ্যাস করানো জরুরি বলেই মনে করেন অনিন্দিতা। বড়দের মতো কঠিন ব্যায়াম না হলেও, হালকা যোগাসন, সাঁতার, জগিং, দৌড়নো এইগুলো নিয়মিত করতেই পারে শিশুরা। তবে প্রথমেই এ সব করতে রাজি হবে না তারা। তাদের উৎসাহ দিতে হবে ধৈর্য ধরে।

১) প্রথমেই রুটিন তৈরি করে ফেলুন। শিশু রাতে কখন ঘুমোবে, সকালে কখন ঘুম থেকে উঠবে, কখন স্কুলের জন্য বেরোবে, কখন বাড়ি ফিরবে, কত ক্ষণ পড়াশোনা করবে— এ সব কিছুরই রুটিন থাকা দরকার। তা হলে সেই মতো শরীরচর্চা বা খেলাধূলা করানোর সময় বার করা যাবে।

২) সন্তানকে বলুন, নতুন খেলা শেখাবেন আপনি। তাতে খুব মজা হবে। অনিন্দিতা বলছেন, দরকারে খেলনাও কিনে দিন। সেটা দেখিয়েই তাকে বাইরে নিয়ে যান। এখন অনেক আবাসনেই ছোটদের খেলার আলাদা জায়গা থাকে। যদি তা না-ও থাকে, তা হলে বাড়ির সামনে অথবা ছাদেও নিয়ে যেতে পারেন। স্পট জগিং দিয়ে শুরুটা করতে পারেন। তার পর ফ্রি-হ্যান্ড করান। আপনিও করুন। তা হলে আপনাকে দেখে সন্তান উৎসাহ পাবে।

৩) যোগাসন করাতে হলে কোনও প্রশিক্ষকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল। আপনার সন্তানের বয়স, ওজন, উচ্চতা অনুযায়ী তিনি যোগাসন শেখাবেন। সন্তানের কোনও শারীরিক সমস্যা আছে কি না, অথবা কোনও ওষুধ খায় কি না, সেটা আগেই বলে নেবেন।

৪) ব্যায়াম করে গায়ে, হাত-পায়ে ব্যথা হলে সন্তান আর সেটা করতে চাইবে না। তখন বকাবকি না করে ধৈর্য ধরে বোঝাতে হবে। সে দিনটা না হয় অন্য রকম কিছু করালেন। ঘরে গান চালিয়ে অ্যারোবিক্স বা জুম্বা অভ্যাস করাতে পারেন। তার আগে অবশ্য আপনিও কিছু পদ্ধতি শিখে নিন।

৫) শারীরিক কসরতের পরে মেডিটেশনও জরুরি। ছোট থেকেই সন্তানকে অভ্যস্ত করাতে হবে। শিশুরা এমনিতেই ছটফটে। এক জায়গায় হয়তো বসতে চাইবে না। কিন্তু আপনাকেই সেই দায়িত্ব নিয়ে তাকে অন্তত ১৫ মিনিটও চুপ করে বসানোর অভ্যাস করাতে হবে। এতে ছোট থেকেই একাগ্রতা, মনঃসংযোগ বাড়বে শিশুর। স্মৃতিশক্তিও উন্নত হবে।

Fitness Tips Child Health
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy