কেন ‘হাইব্রিড’ প্রেমের রমরমা বাড়ছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে? ছবি: শাটারস্টক।
কোভিড-পরবর্তী সময়ে বদলে গিয়েছে ডেটিংয়ের সংজ্ঞা। সমাজমাধ্যমের যুগে এখন ডেটিং বিষয়টি পুরোটাই মুঠোফোনে বন্দি। চারদিকে বেড়ে চলছে ডেটিং অ্যাপের রমরমা। স্কুল-কলেজ কিংবা অফিসের প্রেম এখন অতীত। বদলে পছন্দের সঙ্গীর খোঁজ করতে এখন ডেটিং অ্যাপের উপর ভরসা রাখছেন অনেকে। মানুষের সঙ্গে মেশার আগেই কেবল তাঁর বায়ো আর ছবি দেখেই চলছে নির্বাচন পর্ব। কাউকে পছন্দ না কি অপছন্দের মধ্যে কেবল ‘লেফ্ট সোয়াইপ’ আর ‘রাইট সোয়াইপ’-এর ফারাক। একটি সময় প্রিয়জন শহরের বাইরে থাকলে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে চলত প্রেমপর্ব। তবে এখন এক শহরে থেকেও মুখোমুখি আলাপের বদলে ভিডিয়ো চ্যাটিংকেই প্রাধান্য দিচ্ছে তরুণ প্রজন্ম।
কোভিডের সময় কাজের প্রয়োজনে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য মানুষকে জ়ুম কল, ভিডিয়ো কনফারেন্সের সাহায্য নিতে হয়েছিল। যাঁরা প্রযুক্তির ব্যবহারে ততটাও সড়গড় ছিলেন না, তাঁরাও কাজের প্রয়োজনে শিখেছিলেন প্রযুক্তির ব্যবহার। প্রেমের জগতেও চোখে পড়েছিল প্রযুক্তির বাড়বাড়ন্ত। সঙ্গীর জন্মদিন পালন থেকে প্রথম প্রেমপ্রস্তাব— সবটাই ছিল ভিডিয়ো কল নির্ভর। কোভিড-পরবর্তী পর্যায় কিন্তু তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পুরনো ডেটিং পন্থায় ফিরে যাওয়ার তেমন উৎসাহ চোখে পড়েনি। বরং তাঁরা অনলাইনেই প্রেমপর্ব চালিয়ে যেতে আগ্রহী হয়েছে। কোভিড-শেষে জনপ্রিয় হয়েছে ‘হাইব্রিড ডেটিং’, অর্থাৎ অনলাইন ডেটিং ও মুখোমুখি ডেটিংয়ের মিশ্র রূপ। তরুণ সম্প্রদায় বুঝতে পেরেছে, অনলাইন ডেটিং ও মুখোমুখি ডেটিং— দুই পন্থারই কিছু সুবিধা-অসুবিধা আছে। তাই দুই পন্থার এক মধ্যবর্তী পর্যায় ‘হাইব্রিড ডেটিং’কেই ডেটিংয়ের সেরা মাধ্যম হিসাবে গণ্য করছে বেশির ভাগ তরুণ-তরুণীরাই। ঠিক যেমন এখন অনেক অফিসেই কর্মীরা ‘হাইব্রিড মডেল’-এ কাজ করে। সপ্তাহে কিছু দিন অফিসে গিয়ে আবার কিছু দিন বাড়িতে বসেই অফিসের কাজ সারেন কর্মীরা। ‘হাইব্রিড ডেটিং’-এর ক্ষেত্রে বিষয়টা ঠিক সে রকমই।
‘হাইব্রিড ডেটিং’-এর সুবিধা
১) ধরুন আপনি কারও সঙ্গে ডেটে গেলেন প্রথম বার। সেই ব্যক্তির আচরণ কিংবা ব্যবহার মোটেই আপনার মনের মতো হল না, সেই পরিস্থিতিতে তাঁর মুখের উপর ‘না’ বলে বেরিয়ে আসাটা সহজ নয়। অনেক সময় এই পরিস্থিতি অনেক ঝামেলা ও ঝক্কির মধ্যেও পড়তে হয়। অথচ অনলাইন ডেটিংয়ের ক্ষেত্রে আপনি খুব বেশি ঝক্কি ছাড়াই একটি মাত্র ক্লিকেই কথপোকথন বন্ধ করে দিতে পারেন।
২) ডেটিংয়ের জন্য বাইরে যাওয়া মানেই সময় ও অর্থ দুই খরচ হয়। অথচ অনলাইনে আলাপচারিতা বাড়াতে খুব বেশি সময় খরচ না করলে চলবে। এর পাশাপাশি ডেটিংয়ে যাওয়ার খরচও বাঁচবে। যদি অনলাইন ডেটিং জমে ওঠে তার পর সামনাসামনি দেখা করার কথা ভাবা যেতেই পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy