প্রতীকী ছবি।
নেটজগতে অনেক কিছুই হয়। অনলাইনে টাকা খোয়ান অনেকে। কিন্তু টাকা হাতানোর নিত্যনতুন পথও বেরোচ্ছে। এ বার যেমন ‘বন্ধুত্বের’ ফাঁদে পড়েছিলেন মুম্বইয়ের মুলুন্দের এক ব়ৃদ্ধ। খোয়াতে হয়েছে ৫৭ লক্ষ টাকা।
কিন্তু কী উপায়ে তাঁর এক টাকা হাতিয়ে নিল দুষ্কৃতীরা?
একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ওই বৃদ্ধের ফোনে যায় বন্ধুত্বের ক্লাবের সদস্য হওয়ার বার্তা। প্রথমে তিনি ততটাও ভাবেননি বিষয়টি নিয়ে। তার পর এক দিন বৃদ্ধের কাছে ফোন যায়। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে বলা হয়, স্থানীয় অনেকের সঙ্গে আলাপ হবে এই ক্লাবে। সদস্য হতে গেলে দিতে হবে তিন হাজার টাকা। তখন তিনি রাজি হয়ে যান। ‘স্বপ্না ফ্রেন্ডশিপ ক্লাব’-এর সদস্য হন।
কিন্তু এই বন্ধুত্বের ক্লাবের আড়ালে আসলে চলছিল অনলাইন প্রতারণা চক্র। বুঝতে পারেননি তিনি। হঠাৎ এক দিন ক্লাবের তরফে ফোন করে এক মহিলা কিছু অশ্লীল কথা বলতে শুরু করেন বলে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন বৃদ্ধ। এর পর তিনি সেই ক্লাবের সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখতে চান না।
কিন্তু ঘটনাটি সেখানে শেষ নয়। বরং শুরু।
এর পর তাঁর কাছে ফোন আসে নাগপুরের পুলিশ কমিশনারেটের তরফে। সেখানে বলা হয়, এক মহিলার শ্লীলতাহানি করেছেন তিনি। এমন অভিযোগ জমা পড়েছে।
সেই ফোন যে আসলে পুলিশের তরফে আসেনি, তা বুঝতে সময় লেগেছে বৃদ্ধের। মুম্বইয়ের পুলিশ সূত্রে খবর, সেই ঘটনার পর থেকে নিয়মিত টাকা চেয়ে তাঁর কাছে আসে হুমকি ফোন। পরে অভিযোগে জানানো হয়েছে, হুমকি দিয়ে দফায় দফায় মোট ৫৭ লক্ষ টাকা হাতানো হয়েছে বৃদ্ধের কাছ থেকে।
সাইবার পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে বৃদ্ধ জানিয়েছেন, তিনি একাই থাকেন। তাঁর কাছে প্রথম যে মোবাইল বার্তা এসেছিল, তাতে লেখা ছিল, ‘যদি নিজের এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চান, তবে এই নম্বরে যোগাযোগ করুন।’
এর পর তিনি উত্তর না দেওয়ায় তিন দিন পর আসে ধর্মেন্দ্র নামে এক জনের ফোন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে প্রথমে তিন হাজার টাকা দিয়ে সদস্য হন। পরে মহিলার ‘অশ্লীল’ আচরণে বিরক্ত হয়ে তিনি সদস্যপদ ছাড়তে চাইলে ন’হাজার টাকা চাওয়া হয়। তা-ও তিনি দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন পুলিশকে।
তবু ‘স্বপ্না ফ্রেন্ডশিপ ক্লাব’ তাঁর পিছু ছাড়েনি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy