দিনের মধ্যে একটা বড় সময় আমরা মোবাইলে কাটাই। তার পাশাপাশি চলতে থাকে একে অপরের সঙ্গে হোয়াটস্অ্যাপ বা অন্য মেসেঞ্জারে ‘মিম’ চালাচালি। কখনও তা বিষয়ভিত্তিক, আবার কখনও তা নেহাতই মজার ছলে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মিম বা ভিডিয়ো আদানপ্রদানেরও স্বাস্থ্যকর দিক রয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে বিশেষ একটি ধরনের মিমই আলোচনার কেন্দ্রে বেশি কার্যকরী।
সম্প্রতি ‘জার্নাল অফ কনজ়িউমার রিসার্চ’-এ সমাজমাধ্যমে তথ্য আদানপ্রদান সম্পর্কিত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। পেঙ্গুইনরা অনেক সময়ে নিজেদের মধ্যে ভালবাসা এবং স্নেহের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বরফ বা পাথরের টুকরো দিয়ে থাকে। বিষয়টিকে বলা হয় ‘পেবলিং’। গবেষক ঘালিয়া শ্যামালে বলেছেন, ‘‘আমাদের গবেষণায় আমরা সমাজমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যেও একই রকম স্বভাবের উপস্থিতি লক্ষ্য করেছি।’’
আরও পড়ুন:
গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, সমাজমাধ্যমে পশুদের মিম বা ভিডিয়ো অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার প্রবণতা মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে পরোক্ষে স্নেহ এবং ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। বন্ধু বা নিকটাত্মীয় ভেদে ছবি বা ভিডিয়োর ধরনও বদলে যায়। ঘালিয়ার কথায়, ‘‘অনেক সময় এই ধরনের আদানপ্রদান সম্পর্কের উন্নতিতেও সাহায্য করে।’’ প্রাণীদের ভিডিয়ো এবং মিম ভাগ করে নেওয়া যে মানসিক সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ, সে কথাও এই পর্যবেক্ষণে আলাদা করে উল্লেখ করা হয়েছে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, মোট ২১ জন অ্যানিম্যাল কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ১২ জন অ্যানিম্যাল কনটেন্ট প্রেমীর সাক্ষাৎকার এবং তাদের আদানপ্রদানের ধরনকে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গবেষকদের দাবি, প্রাণীদের ছবি বা ভিডিয়োর মাধ্যমে পরোক্ষে অন্যের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায় যে, ‘আমি আসলে তোমার কথাই ভাবছিলাম’।