Advertisement
E-Paper

স্মার্টফোনে মেয়েদের বেশি ক্ষতি! তাই আরাধ্যাকে ফোন দেননি মা ঐশ্বর্যা? কোন বয়সে দেওয়া উচিত

ঐশ্বর্যার অভিভাবকত্ব নিয়ে নেটাগরিকদের কটাক্ষ থাকেই, “মেয়ে কত বড় হয়ে গেল, তা-ও এক মুহূর্ত একা ছাড়েন না ঐশ্বর্যা!” সম্প্রতি জানা গেল, ঐশ্বর্যা এখনও আরাধ্যাকে স্মার্টফোন দেননি। সমাজমাধ্যমের কোনও মঞ্চে এখনও নাম লেখাননি অমিতাভ বচ্চনের নাতনি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৫ ১০:০৯
ঐশ্বর্যা এখনও আরাধ্যাকে স্মার্টফোন দেননি।

ঐশ্বর্যা এখনও আরাধ্যাকে স্মার্টফোন দেননি। ছবি: সংগৃহীত।

মা যেখানে, মেয়ে সেখানে। ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন আর আরাধ্যা বচ্চনকে সব সময়ে এক সঙ্গে দেখা যায়। তা সে কান চলচ্চিত্রোৎসব হোক বা কোনও তারকার বিয়ে। কারও কাছে এমন অভিভাবকত্ব বলিউডে খুব প্রয়োজনীয়। কিন্তু কারও কাছে সারা ক্ষণের নজরদারি দমবন্ধ করা। ঐশ্বর্যার অভিভাবকত্ব নিয়ে নেটাগরিকদের কটাক্ষ থাকেই, “মেয়ে কত বড় হয়ে গেল, তা-ও এক মুহূর্ত একা ছাড়েন না ঐশ্বর্যা!” সম্প্রতি অভিষেক বচ্চন মেয়ের লালনপালনের সমস্ত কৃতিত্ব তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে জানান, ঐশ্বর্যা এখনও আরাধ্যাকে স্মার্টফোন দেননি। সমাজমাধ্যমের কোনও মঞ্চে এখনও নাম লেখাননি অমিতাভ বচ্চনের নাতনি।

প্রশ্ন জাগে, আরাধ্যার বয়স এখন সাড়ে ১৩ বছর। তা হলে কোন বয়সে সন্তানকে প্রথম স্মার্টফোন কিনে দেওয়া উচিত?

ওয়াশিংটন ডিসি-র একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা ‘সেপিয়েন ল্যাবস’ এই বিষয়ে গবেষণা করে। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশেও তাদের একটি গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে। সেই সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী, যত দেরিতে শিশুদের নিজস্ব স্মার্টফোন হবে, ততই মানসিক সমস্যা কমবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিশেষ করে ১২ বছর বয়সের আগে স্মার্টফোন পেয়ে গেলে মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, অন্তত ১৪ বা ১৫ বছর বয়সে তা-ও স্মার্টফোন দেওয়া যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্মার্টফোনের ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর সম্ভবত নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে। গবেষণা জানাচ্ছে, প্রথম বার স্মার্টফোনের মালিক হওয়ার বয়স ৬ থেকে ১৮, এর মধ্যে যে কোনও একটা হতে পারে। ফোন পাওয়ার বয়স যত বাড়ে, মানসিক রোগে ভোগার সংখ্যা কমতে থাকে। তা মেয়েদের ক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশ থেকে ৪৬ শতাংশ আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ৪২ শতাংশ থেকে ৩৬ শতাংশ হয়।

ফোন হাতে পেলেই সমাজমাধ্যমের প্রলোভনে পা দিয়ে ফেলে অধিকাংশ কিশোর বয়সি। অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভাবে অবগত না হওয়া পর্যন্ত ফোন না পাওয়াই ভাল। যদিও স্মার্টফোনের জন্য ‘সঠিক’ বয়স বলে আদপে কিছু হয় না। কেউ কেউ কম বয়সে দায়িত্বশীল হতে পারে, সে ক্ষেত্রে ফোন পেলেও তার অপব্যবহার করে না। আবার কারও ক্ষেত্রে বড় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলে সে উপকৃত হতে পারে। আবার কোনও ক্ষেত্রে বাবা-মায়েরা অত্যন্ত শৃঙ্খলা মেনে সন্তানপালন করতে চান বলে ফোন দেন না হাতে। ঐশ্বর্যাও সম্ভবত সেই বয়সটার জন্য অপেক্ষা করছেন, যা তাঁর কাছে ‘সঠিক’ বলে মনে হয়। অথবা গবেষণা মেনে আরাধ্যার ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করতেও পারেন অভিনেত্রী।

Aishwarya Rai Bachchan Aardhya Bachchan Abhishek Bachchan Parenting Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy