মানুষের মতো ক্যালশিয়ামের ঘাটতিতে ভোগে কুকুরও। খেয়াল করতে হবে, পোষ্যের ব্যবহারে কিছু বদল আসছে কি না। তা ছাড়া বাহ্যিক কিছু লক্ষণও দেখা দেয়। মনে হতেই পারে, মানুষের যেমন দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপ, প্রবল মানসিক চাপ, ভুলভাল খাওয়ার অভ্যাসের কারণে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়, পোষ্যদের ক্ষেত্রে তো তেমন খুব একটা হয় না। যথেষ্টই আদর-যত্নে রাখা হয় পোষ্য কুকুরদের। কিন্তু তা-ও দেখা যায়, ক্যালশিয়ামের ঘাটতি হচ্ছে ওদের। কোনও অসুখের পর এমন হতে পারে আবার খাদ্যাভ্যাসের কারণেও হতে পারে।
কুকুরের ক্যালশিয়ামের ঘাটতি কেন হয়?
দেশের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’ থেকে প্রকাশিত ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’ জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্যালশিয়ামের ঘাটতি বা হাইপোক্যালশেমিয়া নানা কারণে হতে পারে কুকুরদের। একটি সমীক্ষা দেখা গিয়েছে, ৭২ শতাংশ কুকুরের হাইপোক্যালশেমিয়ার কারণ হল দুর্ঘটনায় হাড় ভেঙে যাওয়া। রক্তে ক্যালশিয়ামের মাত্রা যদি প্রতি ডেসিলিটারে ৬.৭ মিলিগ্রামের নীচে নেমে যায়, তখন ক্যালশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে থাকে। কিডনির রোগ, রক্তে ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়া, অ্যাকিউট প্যানক্রিয়েটাইটিসের কারণেও ক্যালশিয়ামের ঘাটতি হতে পারে।
আরও পড়ুন:
লক্ষণ এড়িয়ে গেলে চলবে না
কুকুরেরও যে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি হয়, সে বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা না থাকায় রোগের লক্ষণ এড়িয়ে যান অনেকেই। গবেষণা বলছে, হাইপোক্যালশেমিয়া হলে কুকুর খুব দুর্বল হয়ে পড়বে। সামান্য আঘাতেই হাড় ভেঙে যাওয়া, ঘন ঘন জ্বর আসা, বমি হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেবে। খেয়াল করবেন, তারা সবসময়েই হাঁপাচ্ছে, কোনও কিছুর সঙ্গে মুখ ঘষার চেষ্টা করছে, খাবার খেতে চাইছে না। হৃৎস্পন্দনের হারও অনিয়মিত হয়ে যাবে।
পোষ্য কুকুরের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ক্যালশিয়ামের ঘাটতি ধরা পড়বে। রোগ এড়িয়ে গেলে কিডনির জটিল রোগ হতে পারে পোষা কুকুরের। ক্যালশিয়ামের ঘাটতি মেটাতে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্যালশিয়াম সিরাপ বা সাপ্লিমেন্ট খাওয়ানো যেতে পারে কুকুরকে। পাশাপাশি সবুজ সব্জি, ডিমের সাদা অংশ, দই, মাছ খেলেও ক্যালশিয়ামের চাহিদা পূরণ হবে।