বাড়ির আদরিনীর আচরণে হঠাৎ বদল। দিন কয়েক আগে পা ঘেঁষে দাঁড়ানো বিড়াল এখন আড়াল খোঁজে। ঢুকে পড়ে খাটের নীচে। পায়ে পায়ে ঘোরাও বন্ধ হয়েছে। এ সব দেখেই ভাবছেন, হলটা কী!
পশুরোগ চিকিৎসকেরা বলেন, বিড়ালের আচরণের পিছনে নানা কারণ থাকতে পারে। কখনও তারা ভয় পেতে পারে, উদ্বেগেও ভুগতে পারে। সদর্পে পাড়া বেড়িয়ে আসা বিড়াল যেমন হয়, তেমনই একটু লাজুক স্বভাবেরও হয়। ভয় কিংবা উদ্বেগ কতটা গভীর হবে, তা নির্ভর করে জিনগত বিষয় এবং একদম ছোটবেলাটা সে কেমন পরিবেশে কাটিয়েছে, তার উপরে।
আরও পড়ুন:
সাধারণত, নতুন পরিবেশে বিড়ালকে আনলে সে এমন করতে পারে। কারণ, প্রতিটি জায়গাই তার অপরিচিত। তবে ধীরে ধীরে সে স্বাভাবিকও হয়ে যায়। আবার চেনা পরিবেশের হঠাৎ বদলেও বিড়াল উদ্বেগে ভুগতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে কী করণীয়?
· বিড়ালকে তার নিজের মতো ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন। যাতে সে ধাতস্থ হতে পারে।
· বিড়ালের লুকিয়ে পড়ার কিছু স্থান থাকে। যেখানে সে আড়াল খোঁজে। চোখের আড়ালে রয়েছে বলে ঘন ঘন তাকে ডাকাডাকি করা বা তার পছন্দের জায়গায় ঘোরাফেরা না করাই ভাল।
· যদি নতুন পরিবেশ বা চেনা ঘরেই আসবাব বদল বা অন্য কারণে পরিচিত পরিবেশ বদলে গিয়ে থাকে, তা হলে তাকে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে। মাছ, মাংস বা তার পছন্দের খাবারটি এক এক সময় এক এক ঘরে দিয়ে তাকে সেই ঘরে আসতে আগ্রহী করে তোলা যেতে পারে। যাতে সে ভয় থেকে বেরিয়ে ঘরগুলি নতুন করে চিনে নিতে পারে।
· বিড়াল ধাতস্থ হওয়ার পরে হাতের তালুতে খাবার রেখে তাকে সেটি খাওয়ার জন্য উদ্বুব্ধ করা যায়। ধীরে ধীরে সাহস করে কাছে এসে সে খাচ্ছে কি না দেখুন। এ ভাবে তার উদ্বেগ কাটিয়ে তোলা যায়।
· আবার যদি দেখা যায়, বাড়ির লোককে বিড়াল এড়িয়ে চলছে তা হলে এমন খেলনা দিন, যার সঙ্গে দড়ি থাকবে। দূর থেকে দড়ি নাড়িয়ে বিড়ালের সঙ্গে খেলা করা যাবে।
চেনা পরিসরে থেকেও হঠাৎ করে আচরণ বদল হতে পারে পোষ্যের। খাওয়ায় অনীহা, বার বার ডাকা, বাড়ির লোককে এড়িয়ে চলা— এমন কিছু বেশ কয়েক দিন চললে অবশ্যই পশুরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
তবে হঠাৎ করে বাড়িতে পার্টি, বক্স বাজিয়ে গানবাজনা, বিশেষ দিনে বাজি ফাটানো বা ঘন ঘন বাজ পড়লেও সে ভয় পেতে পারে। উদ্বেগও তৈরি হতে পারে। এমন কিছু ঘটেছে কি না, দেখা দরকার।