বেতন হলে কী কী করবেন তার তালিকা তৈরি। কিন্তু দেখা যায় বেতন হতে না হতেই সব টাকা শেষ। যা ভাবনা ছিল তার সিংহভাগই হল না।এমন সমস্যা কমবেশি অনেকেরই হয়।
মাসের শুরুর ১০ দিন যেতে না যেতেই বেতনের অর্থ শেষ। বেতনের অঙ্ক খুব কম বলেই যে কুলোচ্ছে না, তা কিন্তু নয়। অর্থনৈতিক উপদেষ্টারা জানান, রোজগার যাঁর যেমনই হোক না কেন, দরকার সঠিক পরিকল্পনা বাজেট। কোন খাতে খরচ করা যায়, কতটা জমাতে হবে সে ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলেই হতে পারে মুশকিল আসান।
আরও পড়ুন:
তা ছাড়া, বাড়তি উপার্জনের জন্য একই সঙ্গে প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা, চেষ্টা। একরাতে কেউ প্রচুর ধনসম্পত্তির অধিকারী হয়ে যান না। বরং দীর্ঘ চেষ্টায় তা অর্জন করতে হয়। সেই কাজটি সহজ করে দিতে পারে মানসিকতার বদল, দৈনন্দিন জীবনে কয়েকটি ভাল অভ্যাস।
অল্প হলেও সঞ্চয়: প্রতি দিন অল্প করে টাকা সঞ্চয় করুন। ৫০ টাকা ১০০ টাকা হলেও চলবে। অঙ্ক অল্প বলে অবহেলা ঠিক নয়। প্রতি মাসে এই ভাবে জমানোর মানসিকতা ভবিষ্যতের জন্য ভাল।
মাসিক বিনিয়োগ: প্রতি মাসে মোটা অঙ্ক সঞ্চয় করা সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে ডাকঘর বা ব্যাঙ্কে মাসিক যোজনায় বিনিয়োগ করুন। এমন প্রকল্প বেছে নিন, যেখানে বাজারগত ঝুঁকি নেই। ঘরে টাকা রাখলে তাতে সুদ মিলবে না। প্রতি মাসে ৫০০, ২০০০ বা তার বেশি অঙ্ক— যা প্রতি মাসে দিতে পারবেন তা নির্দিষ্ট করে নিন।সঠিক প্রকল্পে জমা করলে ৫-৭ বছর পরে মূলধনের উপর অনেকটাই সুদ মিলবে।
পরিকল্পনা: সংসারের অত্যাবশ্যক খরচ, সঞ্চয়ের জন্য অর্থ আগেই নির্দিষ্ট করে নিন। ক্রেডিট কার্ডের টাকা বা কোনও প্রিমিয়াম দেওয়ার থাকলে সেই খরচ-খরচা হিসাব করে তার পর শখের পিছনে ব্যয় করুন। নিজে হিসাব ঠিকমতো পরিচালনা করতে না পারলে মোবাইল অ্যাপের সাহায্য নিন।
প্রকল্প বাছাই: ভাল প্রকল্প থাকলে তবেই বিনিয়োগ করবেন, এমন মানসিকতাও ঠিক নয়। বরং প্রতি মাসেই বিনিয়োগ জরুরি— এমন ভাবনা রাখাই ভাল। তবে সঠিক প্রকল্প বেছে নেওয়া জরুরি। বেশি লাভের আশায় সবটাই ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্পে দেওয়াটাও ঠিক নয়। বরং বিনিয়োগে ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন।
জানা জরুরি: বর্তমান অর্থনীতি, শেয়ার এমনকি সম্পত্তি কেনা-বেচা সংক্রান্ত জ্ঞানও জরুরি। এই ব্যাপারে সঠিক এবং স্বচ্ছ ধারণাই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। কর বাঁচাতে গিয়ে ভুল ক্ষেত্রে বিনিয়োগও কিন্তু ঠিক নয়।