সব রকম খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করার আগে সাবধান হোন। ছবি: শাটারস্টক।
রোজ সকাল হলেই বাজারের থলি হাতে বেরিয়ে পড়া। তার পর বেছে বেছে হরেক রকম তাজা মাছ-সব্জি কিনে বাড়ি ফেরার দিন আর নেই। জেটগতির জীবনে রোজ বাজারের পাট এককথায় চুকে গিয়েছে। এক বারে কয়েক দিনের খাবার মজুত করতে আমাদের সহায় হয়েছে রেফ্রিজারেটর। আর সেই খাবারকে এক বার রেঁধে বার কয়েক খেতে আমাদের ভরসা মাইক্রোওয়েভ।
তবে আমাদের এই অভ্যাসে রাশ টানতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘জার্নাল অব এগ্রিকালচারকাল ফুড অ্যান্ড কেমিস্ট্রি’-র একটি প্রতিবেদনে একদল গবেষক নিজেদের পরীক্ষার বিস্তারিত প্রমাণ পেশ করে দেখিয়েছেন, মাইক্রোওয়েভে গরম করা খাবারে ভিটামিন বি১২ ক্রমে অকার্যকর হয়ে পড়ে। এক এক বার খাবার গরম করলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভিটামিন বি১২ নষ্ট হয় খাবারের।
দুধ ও মাংস জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২ থাকে। কাজেই এই ধরনের খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করলে খাবারের খাদ্যগুণ নষ্ট হয় ব্যাপক ভাবে। জানেন কি কোন খাবারগুলি মাইক্রোওয়েভে গরম করা উচিত নয়?
আরও পড়ুন: রাতে কত ক্ষণ বিশ্রাম? কম ঘুমে কী কী বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মাছ: মাছের ঝোল মাইক্রোওয়েভে গরম করলে এর খাদ্যগুণ অনেকটা নষ্ট হয়। তাই মাছের কোনও স্ন্যাক্সও মাইক্রোওয়েভে না দেওয়ার পক্ষপাতী বিশেষজ্ঞরা।
দুধজাতীয় খাবার: দুধ জাতীয় কোনও খাবারই মাইক্রোওয়েভে দেওয়া উচিত নয়। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয় খাবারের। খাদ্যগুণ নষ্ট করে দেওয়ার কারণে এড়িয়ে চলুন এই অভ্যাস।
মাইক্রোওয়েভ নষ্ট করে মাছ-মাংসের খাদ্যগুণ।
বেবিফুড: বাজারের কৌটো দুধ বা শিশুদের অন্য খাবারগুলি কখনও মাইক্রোওয়েভে দেওয়া উচিত নয়। শিশুর ত্বক ও হজমপ্রক্রিয়াকে ক্ষতি করে মাইক্রোওয়েভে গরম করা বেবিফুড।
ডিম: ডিমের ঝোল বা ডিম মেশানো আছে এমন কোনও খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করবেন না। ডিমের কুসুমের উপর মাইক্রোওয়েভ বিরূপ প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুন: প্রতি দিনের এই ভুলগুলিই কিন্তু আপনাকে ঠেলে দিচ্ছে স্ট্রোকের দিকে
মাখনযুক্ত খাবার: মাখন রয়েছে এমন খাবার মাইক্রোওয়েভে দিলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
ভাত: মাইক্রোওয়েভে কখনও ভাত গরম করা উচিত নয় বলে মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মাইক্রোওয়েভের রাসায়নিক চাল জাতীয় খাবারের খাদ্যগুণ একেবারেই নষ্ট করে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy