আমের আঁটিও কাজে লাগান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে। ছবি: শাটারস্টক।
আমের আঁটি। প্রবাদে তার নানা ব্যবহার রয়েছে। আম আঁটির ভেঁপু বাজিয়ে বিভূতিভূষণের অপুর কথাও ভোলেনি বাঙালি। আবার আমে-দুধে মিলে গেলে নাকি আমের আঁটিটা গড়াগড়ি খায়। মানে আমের আঁটি নেহাতই তুচ্ছ। অবহেলার। আমের আঁটির আর কোনও গুণপনা নেই বলেই জেনে এসেছে বাঙালি।
এ দিকে রোদের পারদ বাড়ছে। শেষ পাতে কাঁচা আমের চাটনি, আমের আচার কয়েক মাস বাঙালির রসনায় পাকা জায়গা করে নেবে। বাজারে উঠবে নানা প্রজাতির আম। গবেষক সমাজ কিন্তু বলছে এখানেই না থামতে। আম তো বটেই। আমের আঁটিও খুব উপকারী— এমনটাই জানাচ্ছে সাম্প্রতিক গবেষণা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, আম খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। কিন্তু আমের বীজ খেলে তার প্রতিক্রিয়া পুরো ভিন্ন হয়। আমের বীজ খেলে এই শর্করাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তাই নয়, আরও বেশ কয়েকটি রোগের দাওয়াই এই আমের বীজ। জানেন সে সব?
আরও পড়ুন: এই গরমে হেপাটাইটিসের আশঙ্কা প্রবল, দেখে নিন সুস্থ থাকার উপায়
খুশকির সমস্যায় আমের আঁটি খুব উপকারী। আমের আঁটি শুকিয়ে গুঁড়ো করে তা মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন। অথবা জলের সঙ্গে মাথায় ঘষুন। এতে খুশকি কমে। শুধু তা-ই নয়, আমের আঁটির গুঁড়ো মাথার ত্বককে শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে। ফলে চুল ওঠার সমস্যাও অনেকটা নিয়ন্ত্রিত হয়। ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা থাকলে কাঁচা আমের আঁটি খেতে পারেন। ফ্যাট বার্ন ররতে আমের বীজ অত্যন্ত কার্যকরী।
আরও পড়ুন: রাতে কত ক্ষণ বিশ্রাম? কম ঘুমে কী কী বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ডায়ারিয়া হলে আমের বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে, তা জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। ক্রনিক ডায়ারিয়া সারাতে খুবই কার্যকরী এটি। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও কাঁচা আমের বীজ খুবই কার্যকরী। নরম এই বীজ কামড়েই খাওয়া যায়, তবে তা না পারলেও ক্ষতি নেই। কাঁচা আমের বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে ব্যবহার করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy