Advertisement
E-Paper

কী করে বুঝবেন রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গিয়েছে? বিপদ সামলাবেন কেমন করে?

চিকিৎসকদের মতে, এর নির্দিষ্ট কিছু উপসর্গ রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:৫০
দেহে শর্করার মাত্রা আচমকা কমে গেলে তাকে অবহেলা করলে বিপদ ঘটতে পারে। ছবি: আইস্টক।

দেহে শর্করার মাত্রা আচমকা কমে গেলে তাকে অবহেলা করলে বিপদ ঘটতে পারে। ছবি: আইস্টক।

আজকের যুগে ডায়াবিটিস আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বয়সের তোয়াক্কা না করেই এই রোগ শরীরে হানা দিতে পারে। আর এক বার এই রোগ দেহে বাসা বাঁধলে সহজে রেহাই নেই । রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে ওষুধ বাদ দিলে চলে না। আর ওষুধেও কাজ না হলে বাড়তি সংযোজন হয় ইনসুলিন। আবার রোজ নিয়ম করে ওষুধ আর ইনসুলিন নিলে অনেক সময় রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকাই নেমে যায়। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি।

চিকিৎসক অভিজিৎ চন্দর মতে, ‘‘রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে গেলে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় ‘হাইপোগ্লাইসিমিয়া’। হাইপোগ্লাইসিমিয়ায় দেখা দিতে পারে একাধিক সমস্যা। মানুষের মস্তিষ্কের সঠিক কার্য পরিচালনার জন্য গ্লুকোজের প্রয়োজন হয়। আবার শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রতঙ্গের কার্য পরিচালনার জন্যেও গ্লুকোজ প্রয়োজনীয়। শর্করাই শরীরের শক্তি জোগানোর মূল উত্স। তাই দেহে শর্করার মাত্রা আচমকা কমে গেলে তাকে অবহেলা করলে মুশকিল।’’

কিন্তু কী করেই বা বুঝবেন যে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গিয়েছে? চিকিৎসকদের মতে, এর নির্দিষ্ট কিছু উপসর্গ রয়েছে।

আরও পড়ুন: সন্তানের জন্মগত স্নায়ুর অসুখ দূরে সরাতে মেনে চলুন সহজ এই উপায়

দেহে শর্করার মাত্রা কমে গেলে বুক ধড়ফড় করে। শরীর কাঁপতে থাকে । গায়ের চামড়া ফ্যাকাশেও হয়ে যায় অনেক ক্ষেত্রে। পাখার নীচে থাকলেও শরীর থেকে অত্যধিক ঘাম ঝরতে থেকে। শরীর খুব দুর্বল হয়ে আসে। মাথা ঘুরে যায়। হৃদস্পন্দন অনিয়মিত বা দ্রুত হতে থাকে। খুব গুরুতর অবস্থায় অনেক সময় খিঁচুনিও আসে।

আরও পড়ুন: রূপটানে এই উপাদানগুলি ব্যবহার করেন? এখনই সাবধান হোন!

এমন হলে কী করণীয়?

আচমকা সুগারের মাত্রা কমে গেলে ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য গুড় বা এক চামচ চিনি মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিন। সুগারের রোগীদের জন্য আপেল হল মোক্ষম দাওয়াই। আপেলে থাকে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম ও ক্রোমিয়াম যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। রোজকার ডায়েটে কড়াইশুঁটি, কলা, বার্লি, দুধ, কাজুবাদাম, সয়াবিন, দই ইত্যাদি রাখুন। এই খাবারগুলিও সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

তবে প্রায়ই হাইপোগ্লাইসিমিয়ার সমস্য দেখা দিলে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিয়ম করে জল, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ও হালকা ব্যয়ামের মাধ্যমে রেহাই পেতে পারেন হাইপোগ্লাইসিমিয়া থেকে।

Diabetes Insulin Health Tips Fitness Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy