পোষ্যকে নিয়ে এমন ভাবেই বড়পর্দায় ছবি দেখা উপভোগ করতে পারেন। ছবি: এএফটি
বাড়িতে থাকলে সারা ক্ষণ গায়ে ঘেঁষে থাকে। কাজের জন্য যেটুকু সময় বাইরে থাকতে হয়, সেই সময়েও মন পড়ে থাকে পোষ্যটির দিকে। বাড়ির চারপেয়ে সদস্যটিকে একলা রেখে দূরে কোথাও যেতে মন চায় না অনেকেরই। সপ্তাহান্তে ছুটির দিন, তাকে ছেড়ে কিছু ক্ষণের জন্য সিনেমা দেখতে যেতেও দু’বার ভাবতে হয়। সেই সব পোষ্যের অভিভাবকদের কথা ভেবে তাইল্যান্ডে চালু হল সেই দেশের প্রথম ‘পেট ফ্রেন্ডলি সিনেমা’।
ব্যাঙ্কক শহরের অদূরেই ‘মেগা বঙ্গনা শপিং মল’-এ মেজর সিনেপ্লেক্স। সিনেমা হলের উদ্বোধন উপলক্ষে এক ডজনেরও বেশি চারপেয়েকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। চারপেয়েরা যাতে কোনও ভাবে প্রেক্ষাগৃহ নোংরা না করে, তার জন্য সকলের নিম্নাঙ্গে ছিল বিশেষ ডায়াপার। পোষ্যদের জন্য সাধারণ আসনের উপর বিশেষ ব্যাগেরও ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। সংস্থার পক্ষ থেকে নারুতে জিয়েন্সনং এক সাক্ষাৎকারে জানান, চড়া আলো এবং আওয়াজে পোষ্যদের সমস্যা হতে পারে। তাই সেই সব কথা মাথায় রেখে আলোর ঔজ্জ্বল্য এবং শব্দের সীমাও নিয়ন্ত্রণ করে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, “ব্যাঙ্কক পোষ্যদের জন্য খুব একটা সুরক্ষিত নয়। তা ছাড়া অনেক পোষ্যই মানুষ ঘেঁষা হয়। অনেকটা সময় মানুষকে না দেখতে পেলে তাদের মধ্যেও উদ্বেগের পরিমাণ বেড়ে যায়।”
এই উদ্যোগে তাইল্যান্ডের বেশির ভাগ পোষ্যের মালিক খুশি হলেও অন্য এক অভিভাবক জানিয়েছেন, “এ ভাবে ৩-৪ ঘণ্টা খাঁচার মধ্যে আটকে থেকে পোষ্যরা কতটা আনন্দ পাবে, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy