পরিবারের সঙ্গে অদিতি ত্রিপাঠি। ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বভ্রমণের স্বপ্ন অনেকেই দেখেন, তবে সেই স্বপ্নপূরণ হয় ক’জনের? আর্থিক ভাবে পেরে ওঠেন না কেউ কেউ, অনেকে আবার দৈনন্দিন ব্যস্ততা থেকে সময় বার করে দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করতে পারেন না। তবে দশ বছরের খুদে অদিতি ত্রিপাঠি কিন্তু ইতিমধ্যেই ৫০টি দেশ ভ্রমণ করে ফেলেছে। লন্ডনের গ্রিনউইচের বাসিন্দা অদিতি আদতে প্রবাসী ভারতীয়।তার বয়সি আর পাঁচ জন খুদে যখন নিজেদের ডায়েরিতে বিদেশভ্রমণের তালিকা তৈরি করে, অদিতির তখন বিদেশবিভুঁইয়ে ব্যস্ত। তবে বিদেশভ্রমণের জন্য কিন্তু সে এক দিনও স্কুল কামাই করেনি। ভাবছেন তো সেটা কী করে সম্ভব হল?
ঘুরতে যাওয়ার জন্য অদিতির পড়াশোনার কোনও ক্ষতি হোক সেটা মোটেই চান না অদিতির বাবা-মা, দীপক আর অভিলাষা। তাই জন্য স্কুলের লম্বা ছুটির দিনগুলি যেমন শীতকালীন ছুটি, গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবং শনি-রবিবারের সঙ্গে যদি কোনও ছুটির দিন পরে যায়, সেই দিনগুলিতে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা বানিয়ে ফেলেন অদিতির বাবা-মা। শুক্রবার স্কুল ছুটির পর প্লেনে চড়েন তাঁরা, আবার যে দিন স্কুল খোলে সরাসরি বিমানবন্দর থেকে স্কুলে চলে যায় অদিতি। তিন বছর বয়সে নার্সারি স্কুলে পড়ার সময় থেকেই অদিতি দেশ-বিদেশে ঘুরছে। কোভিড শুরু হওয়ার আগে এক বছরে অদিতির পরিবার একসঙ্গে মোট ১২টি দেশে ভ্রমণ করেছিল। নেপাল, ভারত আর তাইল্যান্ডের বিভিন্ন রকম সংস্কৃতি মুগ্ধ করছে অদিতিকে। ইতিমধ্যেই এশিয়া আর ইউরোপের বেশির ভাগ দেশ ঘুরে ফেলেছে অদিতি।
বিদেশ ভ্রমণের জন্য পয়সা জোগাড় করতে রোজকার জীবন খুবই আড়ম্বরহীন ভাবে কাটান অদিতির বাবা-মা। অদিতির বাবা-মার ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ কাজ, অর্থাৎ বাড়িতেই বসেই অফিসের কাজ করতে পারেন তাঁরা। তাই বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকেই কাজ করতে অসুবিধা হয় না তাঁদের। মেয়ের সঙ্গে দেশ-বিদেশে ঘোরা, সেখানকার খাবার চেখে দেখা তাঁদের নেশা বলা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy