জিকা সংক্রমণ রুখতে পেরুতে চলছে মশা মারার অভিযান। ছবি: গেটি ইমেজেস।
মশার হুল বেয়ে এ বার হানা দিচ্ছে নতুন বিপদ জিকা। একেবারেই অচেনা রোগ। রোগের উপসর্গও খুব অস্পষ্ট। ফলে এই রোগে আক্রান্ত হলে বোঝা যাচ্ছে না সহজে। নিঃশব্দে মস্তিষ্ক শেষ করে দিচ্ছে জিকা ভাইরাস। এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মস্তিষ্ক বা ব্রেন, যা আর কিছুতেই স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরা সম্ভব নয়।
পড়ুন:
জিকার ভয়ে ২০১৮ পর্যন্ত গর্ভবতী হওয়া বারণ!
জিকা ভাইরাসের প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে গর্ভবতী মহিলাদের উপর। অন্তঃসত্ত্বা মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থাতেই আক্রান্ত হচ্ছে সন্তানও। সেই সন্তান জন্ম নিচ্ছে মাইক্রোসেফ্যালিতে আক্রান্ত হয়ে। অর্থাৎ ওই নবজাতকদের মাথা শরীরের তুলনায় অস্বাভাবিক রকম ছোট আকারের হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন অসম্পূর্ণ মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মানো এই শিশুদের জীবনভর সেই অস্বাভাবিকতা নিয়েই বাঁচতে হবে। জিকায় আক্রান্ত হলে ঘুসঘুসে জ্বর হয়। সঙ্গে গায়ে সামান্য র্যাশ বেরোতে পারে। কিন্তু এই লক্ষণগুলি এতই মৃদু যে রোগী জিকা আক্রান্ত না সাদারণ জ্বরে আক্রান্ত, তা বোঝা খুব কঠিন। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের কাছেও রোগটি অচেনা। ফলে জিকাকে চিনে নেওয়ার উপায় এখনও খুঁজে বার করা যায়নি। এই রোগের জন্য নির্দিষ্ট কোনও ওষুধও বাজারে নেই। জিকাকে চিনে নেওয়ার উপায় এবং তার নিরাময়ের ওষুধ খুঁজতে মার্কিন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা জোরকদমে কাজ শুরু করেছেন। তবে এখনও কোনও সুখবর মেলেনি।
আরও পড়ুন:
ফর্সা সন্তান চাই, ফেসবুকে গর্ভবতী মহিলার প্রশ্নে হুলুস্থুল
ক্রান্তীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলের দেশগুলিতে জিকা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিতে শুরু করেছে। ভারতও এই ক্রান্তীয় অঞ্চলেই পড়ে। ব্রাজিল ইতিমধ্যেই জিকার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর শিকারে পরিণত হয়েছে। সে দেশে অন্তত ৪০০০ নবজাতক মাইক্রোসেফ্যালি অর্থাৎ অস্বাভাবিক ছোট মাথা নিয়ে জন্মেছে। ইউরোপেও জিকার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। ডেনমার্কে প্রথম জিকা আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে ফরাসি সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর। কানাডা এবং চিলি ছাড়া দুই আমেরিকা মহাদেশের প্রায় সব দেশেই জিকা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের (হু) বিশেষজ্ঞরা সতর্কবার্তা শুনিয়েছেন। গর্ভবতী মহিলারাই জিকার সবচেয়ে সহজ শিকার কি না, তাও পরীক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy