প্রতীকী ছবি।
পাঁচতারা হোটেলে থেকেছেন প্রায় সাড়ে তিন মাস। যার জন্য খরচ হয়েছিল প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা। তবে সে টাকার আংশিক মিটিয়েই হোটেল থেকে চম্পট দিলেন এক ব্যবসায়ী। এখনও তাঁর কাছে পাওনা রয়েছে ১২ লক্ষেরও বেশি টাকা। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে বিশাখাপত্তনমের এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে।
শনিবার হায়দরাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর নাম এ শঙ্কর নারায়ণ। হায়দরাবাদের তাজ বানজারা হোটেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা রুজু করা হয়েছে।
হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, হোটেলে ১০২ দিন ছিলেন এ শঙ্কর নারায়ণ। গত এপ্রিলে কাউকে কিছু না জানিয়েই হোটেল ছেড়ে চলে যান তিনি। ২৫ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা বিল হলেও মাত্র ১৩ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা দিয়েই হোটেল ছাড়েন ওই ব্যবসায়ী। ফলে তাঁর কাছ থেকে এখনও ১২ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। যদিও নারায়ণের দাবি, হোটেল ছাড়ার আগে বিলের পুরো টাকাই মিটিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। খামোখা তাঁর সম্মানহানি করার জন্যই এ ধরনের অভিযোগ আনছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।
ওই ঘটনার পর নারায়ণের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সে সময় বিলের পুরো টাকা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও তা করেননি তিনি। এর পর ওই ব্যবসায়ী তাঁর মোবাইল সুইচড অফ করে রেখেছেন। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে এর পর আর যোগাযোগ করা যায়নি। শেষমেশ কোনও উপায় না দেখে পুলিশের দ্বারস্থ হন হোটেল কর্তৃপক্ষ। হায়দরাবাদের বানজারা হিলস থানায় এ নিয়ে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁরা। থানার সাব-ইনস্পেক্টর পি রবি বলেন, “আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষের থেকে অভিযোগ পেয়েছি। এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।”
আরও পড়ুন: শিশুকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা, বাবাকে ধরিয়ে দিল মেয়ে
আরও পড়ুন: ৩৭০ রদ হওয়ার জের, লাহৌরে ভাঙা হল রঞ্জিত সিংহের মূর্তি
ঘটনার পর নারায়ণের দাবি, তাঁর সম্মানহানি করার জন্যই এ ধরনের অভিযোগ করছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। ওই হোটেলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার নেওয়ারও কথা চিন্তা-ভাবনা করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy