Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
COVID-19

এক দিনে গোটা দেশে সংক্রমিত প্রায় আড়াই হাজার

আশার কথা একটাই। রাত পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় এক হাজারেরও বেশি করোনা-রোগী সুস্থ হয়েছেন।

ছবি: এএফপি।

ছবি: এএফপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২০ ০৫:১৬
Share: Save:

মাত্র ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত প্রায় আড়াই হাজার। করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকে এক দিনে রোগীর সংখ্যা এত বেশি কখনও বাড়েনি ভারতে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত কাল থেকে সারা দেশে নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছেন ২,৪১১ জন। দেশে মোট সংক্রমণের সংখ্যা এখন ৩৭,৭৭৬। গত এক দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ৭১ জন। সব মিলিয়ে মৃত ১,২২৩।

আশার কথা একটাই। আজ রাত পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় এক হাজারেরও বেশি করোনা-রোগী সুস্থ হয়েছেন। আগে এই দৈনিক সংখ্যাটা ৬০০-৮০০-র আশেপাশে থাকছিল। দেশে মোট সুস্থের সংখ্যা এখন ১০,০১৭। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সুস্থ হওয়ার হার ক্রমশ বাড়ছে। এখন তা ২৬.৬৫ শতাংশ। কয়েক দিন আগেও যা কুড়ির আশেপাশে ছিল।

আরও পড়ুন: বঙ্গে ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৫, এনআরএসে সংক্রমিত ৯

মহারাষ্ট্রে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১১ হাজার পেরিয়েছে। সেখানে মৃতের সংখ্যা ৪৮৫। উদ্ধব সরকার আজ জানিয়েছে, লকডাউনের ফলে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিক, পর্যটক, তীর্থযাত্রী বা পড়ুয়াদের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার ছাড়পত্র দেবেন পুলিশের ডেপুটি কমিশনারেরা। তবে মুম্বই, পুণে এবং পিম্পরি ছিঁচওয়াড়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুর-কমিশনারেরা সংক্রমণের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত না-নেওয়া পর্যন্ত এই সমস্ত এলাকায় যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হবে না। এই এলাকাগুলি থেকে অবশ্য মহারাষ্ট্রের বাইরে যাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে মূলত পরিযায়ী শ্রমিকদের কথাই বলা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ডাক্তারের শংসাপত্র দেখিয়ে নিকটবর্তী থানায় আবেদন করতে হবে। সেই আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন ডিসিপি-রা। রাজ্যওয়াড়ি সংক্রমণের নিরিখে গুজরাত দ্বিতীয় এবং দিল্লি তৃতীয় স্থানে রয়েছে। দিল্লির কাপাশেরা এলাকার একটি বিল্ডিংয়ে ৪১ জনের করোনা-সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর। অর্থনৈতিক ভাবে ভারতের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে শহরগুলি-- মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, আমদাবাদ, সবই এখন রেড জ়োনে।

আরও পড়ুন: ধন্দ রেখে লকডাউনের নির্দেশিকায় সংশোধন কেন্দ্রের

করোনা-পরিস্থিতিতে চিকিৎসাকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা-সামগ্রীর যথাযথ ব্যবহার কী ভাবে করতে হবে, তা নিয়ে আরও একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। গত মাসেও দিল্লির তরফে রাজ্যগুলিকে একই ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। নন-কোভিড হাসপাতাল এবং কোভিড ব্লক রয়েছে এমন হাসপাতালগুলিতে বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক ও কর্মীরা কী ধরনের সুরক্ষা-সামগ্রী ব্যবহার করবেন, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে নয়া নির্দেশিকায়। সেই সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো লক্ষণ নিয়ে আসা রোগীদের জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে হাসপাতালগুলিকে। ওপিডি-তে আসা সাধারণ রোগীদের থেকে সম্ভাব্য করোনা-রোগীদের পৃথক করে রাখার উদ্দেশ্যেই এই পরামর্শ।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

COVID-19 Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE