ছবি: সংগৃহীত।
পথে নেমে প্রতিবাদ যেমন চলছে, চলবে। তার পাশাপাশি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে আইনি পথেও যাচ্ছে সিপিআই।
সুপ্রিম কোর্টে নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে আবেদন (রিট পিটিশন) দায়ের করতে চলেছেন সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আলোচনা করে তেমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিপিআইয়ের অভিযোগ, নয়া নাগরিকত্ব আইন সরাসরি দেশের সংবিধানে স্বীকৃত অধিকারের বিরোধী। ধর্ম যে নাগরিকত্বের ভিত্তি হতে পারে না, সংবিধান প্রণেতারা জাতীয় আইনসভায় বিতর্কের সময়েই তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তার পরে সংবিধানে সমানাধিকার স্বীকৃতি পেয়েছে। অথচ নরেন্দ্র মোদীর সরকার প্রতিবেশি দেশ থেকে বিতাড়িত ৬টি ধর্মের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলেছে এবং নির্দিষ্ট একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সেই সুযোগ দেয়নি। রাজার মতে, ‘‘নাগরিকত্ব দেওয়ার শর্ত হিসেবে ধর্মকে রাখা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহ্যের প্রতি অসম্মান এবং সংবিধানের সঙ্গে জালিয়াতি!’’
এমন আইন চালু করে বিজেপি সরকার এক দিকে মুসলিমদের খাদের কিনারায় দাঁড় করানোর পাশাপাশিই দেশে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করতে চাইছে বলে সিপিআই মনে করে। এই যুক্তি দেখিয়েই আইনটি বাতিল করার দাবি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে তারা।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি এবং এনপিআর-এর বিরোধিতায় এবং আন্দোলনকারীদের উপরে পুলিশি ‘বর্বরতা’র প্রতিবাদে বুধবার থেতে দেশ জুড়ে কর্মসূচি নিয়েছে পাঁচ বাম দল। এরই মধ্যে সংগঠনের হাল খতিয়ে দেখতে কলকাতায় বসতে চলেছে। সিপিআইয়ের জাতীয় পরিষদের বর্ধিত অধিবেশন। গোটা দেশের নানা রাজ্য থেকে প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন, তাই ওই অধিবেশনকে মিনি প্লেনাম বলা হচ্ছে। সিপিআইয়ের পার্টি কংগ্রেস হওয়ার কথা ২০২১ সালে। সে কারণেই এখন পূর্ণাঙ্গ প্লেনাম ডাকা হয়নি। ঠিক হয়েছে, কলকাতায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় সমাবেশ হবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। তার পরে ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি হবে জাতীয় পরিষদের বর্ধিত অধিবেশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy