সালমা আনসারি।—ফাইল চিত্র।
আলিগড়ে এ বার মাদ্রাসার অন্দরে উঠবে মন্দির এবং মসজিদ। শিক্ষাকেন্দ্রে সাম্প্রদায়িক ঐক্য বজায় রাখতে এবং পড়ুয়াদের নিরাপত্তা দিতে এমনই সিদ্ধান্ত নিলেন দেশের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির স্ত্রী সালমা আনসারি। নিজেই সংবাদমাধ্যমকে সে কথা জানালেন তিনি।
আলিগড়ে একটি মাদ্রাসা চালান সালমা আনসারি। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, ‘‘আশাকরি আমাদের দেখে দেশের বাকি মাদ্রাসাগুলিও অনুপ্রাণিত হবে। সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি, এই পদক্ষেপে পড়ুয়াদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যাবে। প্রার্থনা সারতে আর ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে হবে না তাদের।’’
মাদ্রাসার হস্টেলে যে ছেলেমেয়েরা থাকে, তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব যেহেতু তাঁর কাঁধে, তাই ভেবেচিন্তেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান সালমা আনসারি। তিনি বলেন, ‘‘হস্টেল থেকে মন্দির বা মসজিদে যাওয়ার পথে যদি কিছু ঘটে, তাহলে আমাদের উপরই তার দায় বর্তাবে। তাই ভেবেচিন্তে ক্যাম্পাসের মধ্যেই মন্দির এবং মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
আরও পড়ুন: কর্নাটকে আস্থা ভোট বৃহস্পতিবার, পুলিশি নিরাপত্তা চাইলেন বিক্ষুব্ধরা
গত কয়েক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার ঘটনা সামনে এসেছে। কোথাও ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে। কোথাও আবার নিগ্রহের শিকার হয়েছেন দলিতরা, যা নিয়ে এ যাবৎ সরব হয়েছেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন-সহ একাধিক বিশিষ্ট মানুষ। তার মধ্যেই এমন ঘোষণা করলেন সালমা আনসারি। পিটিয়ে মারার অভিযোগ প্রমাণিত হলে, দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক বলেও সাম্প্রতি দাবি তুলেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাত-বজ্জাতি: আদালত চত্বরে পুলিশের সামনেই চড়থাপ্পড় খেলেন সেই বিজেপি নেতার জামাই
২০১৭ সালের অগস্টে উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে বিদায় নেন হামিদ আনসারি। বিদায়কালে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বিঁধেছিলেন তিনিও। বিজেপির আমলে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অস্বস্তিতে রয়েছেন, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সেইসময় মন্তব্য করেন তিনি।তা নিয়ে অবশ্য বিজেপি নেতৃত্বের সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy