কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। ফাইল চিত্র
দেশজোড়া বিতর্কের মধ্যেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের প্রস্তাব পাশ হল কেরল বিধানসভায়। মঙ্গলবার বিধানসভার এক দিনের বিশেষ অধিবেশনে রাজ্য সরকারের আনা সিএএ বাতিল করার প্রস্তাবে সম্মতি দেয় বিরোধীরা।
বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজাগোপাল এ দিন বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘‘এই আইন প্রত্যাহারের দাবি সংকীর্ণতার লক্ষণ’’। তবে তাঁর বিরোধিতা ধোপে টেকেনি। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সিএএ বিরোধী সনদটি পাঠ করার সময়ে বলেন, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ ক্ষুণ্ন করছে ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব প্রদানের আইনটি। তাঁর কথায়,‘‘সংবিধানের আদর্শের সঙ্গে এই আইনটির সরাসরি সঙ্ঘাত তৈরি হচ্ছে। দেশজোড়া উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এই আইন পাশ হওয়ায়। কেন্দ্রের উচিত ধর্মনিরপেক্ষতার খাতিরে এই আইন প্রত্যাহার করা।’’একই সঙ্গে বিজয়ন জানিয়ে দেন, কেরলে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না।
কেরলের সিপিআই বিধায়ক জেমস্ ম্যাথিউ, সি দিবাকরণ এ দিনও সিএএ-এর নিন্দায় মুখর হন। তাঁদের মতে, সিএএ বিরোধিতার এই প্রস্তাব পাশ করে কেরল গোটা বিশ্বের কাছে বার্তা দিল। কংগ্রেস নেতা ভিডি সতীশন এ দিন বলেন, ‘‘সিএএ, এনআরসি একই মুদ্রার দুই পিঠ। সংবিধানের ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ধারাকে ক্ষুণ্ণ করছে এই আইন(সিএএ)’’।
রবিবার নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার বিষয়ক প্রস্তাব আনার জন্যে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন পিনারাই বিজয়ন। সেখানেই কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ (ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট) দাবি করে, একদিনের বিশেষ অধিবেশন করে সিএএ প্রত্যহারের প্রস্তাব পাশ করা হোক।বছরের শেষ দিনকে এই অধিবেশনের জন্যে ধার্য করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy