স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজন। ছবি: সংগৃহীত।
সঙ্ঘ পরিবার কি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাঁদের জন্য রেশন ও অন্য ভর্তুকি বন্ধ করতে চাইছে! এই বিতর্ক আজ উস্কে দিয়েছে সঙ্ঘ পরিবারের স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। মঞ্চের আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজন আজ যুক্তি দিয়েছেন, ভারতের রাজনীতিকেরা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য কোটি কোটি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আশ্রয় দিয়ে তাঁদের আধার, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড ও অন্য সব সুবিধে দেন। কিন্তু আমেরিকা সে দেশে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা দেখা দরকার!
কী ব্যবস্থা নিচ্ছে আমেরিকা? তা বোঝাতে একটি সংবাদের ভিডিয়ো তুলে ধরেছেন অশ্বিনী। যা বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনুপ্রবেশকারীদের সব সরকারি সুবিধে বন্ধ করে কোটি কোটি ডলার সাশ্রয় করতে চলেছেন। এ দেশেও কি নরেন্দ্র মোদী সরকারের সে পথেই হাঁটা উচিত? অশ্বিনীর জবাব, ‘‘আমরা শুধু এ দেশের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিকদের সামনে আয়না তুলে ধরছি। তাঁরা কি আমেরিকাকে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ মনে করেন না? আমেরিকা কী করছে, সেটাই ওঁদের জানাচ্ছি।’’ কিন্তু তাঁরা এ দেশেও সে পথে হাঁটার দাবি তুলছেন কি না তা নিয়ে কোনও জবাব দিতে চাননি অশ্বিনী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা তো সে রকম কিছু বলিনি।’’
দেশ জুড়ে প্রতিবাদের মুখে নয়া নাগরিকত্ব আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না বলে মোদী সরকার আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করছে। সিপিএম ‘মোদী সরকারের দশটি মিথ্যে’ নিয়ে পুস্তিকা তৈরি করে প্রচার শুরু করছে। পলিটবুরোর নেত্রী বৃন্দা কারাট বলেন, ‘‘এই আইনে ধর্মীয় ভেদাভেদ হচ্ছে না, সিএএ-র সঙ্গে এনআরসি-র যোগাযোগ নেই বলে মোদী সরকারের প্রতিটি দাবিতে কোথায় গলদ রয়েছে, তা বিস্তারিত ভাবে মানুষের তুলে ধরা হবে।’’
আরও পড়ুন: অসমে বিক্ষোভের আঁচ পর্যটনে, রেলে
একাধিক রাজ্য নয়া নাগরিকত্ব আইন রূপায়ণ করতে দেবে না বলায় মোদী সরকার এখন রাজ্যগুলিকে এড়িয়ে এ কাজ করতে চাইছে। কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব বলেন, ‘‘এই বিষয়ে তো মানুষেরই সমর্থন নেই। রাজ্য সরকারের বাধা এড়িয়ে কী লাভ হবে? মানুষ প্রতিবাদ করছে।’’ দিল্লিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও হিংসার জন্য আজ মোদী সরকারের তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে দায়ী করেছেন। জাভড়েকর বলেন, ‘‘দিল্লির মতো শান্ত শহরে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সংখ্যালঘুদের মধ্যে ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি তৈরি করে অশান্তি তৈরির জন্য আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেস দায়ী। সরকারি সম্পত্তি নষ্টের জন্য দিল্লির মানুষের কাছে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy