জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
দক্ষিণ কাশ্মীরের চার জেলায় হানা দিয়ে পাঁচ পুলিশকর্মীর পরিবারকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেল জঙ্গিরা। বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে জঙ্গিরা হানা দেয় কুলগাম, সোপিয়ান, অনন্তনাগ এবং অবন্তিপোরায়। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।
জঙ্গিদের টাকা জোগানোর অভিযোগে ওই দিন সকালেই শ্রীনগরের রামবাগ থেকে হিজবুল নেতা সালাউদ্দিনের ছেলে শাকিলকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সেই ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই জঙ্গিদের পাল্টা ‘অপারেশন’-এ ঘুম উড়ে গিয়েছে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের।
পুলিশ জানিয়েছে, অপহৃতদের মধ্যে রয়েছেন শীর্ষস্তরের এক পুলিশ আধিকারিকের ভাই। তাঁর পোস্টিং ছিল শ্রীনগরে। অন্য এক পুলিশকর্মীর ছেলেকেও তুলে নিয়ে গিয়েছে জঙ্গিরা। জানা গিয়েছে, তিনি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে রান্নার কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: ব্যর্থতা ঢাকতেই দেশের নজর ঘোরানোর ছক মোদীর
এই মুহূর্তে জঙ্গি নিধন করতে গোটা কাশ্মীর জুড়ে অভিযান চালাচ্ছে সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথবাহিনী। বৃহস্পতিবার সোপিয়ানে এ রকমই একটি অভিযানে গিয়েছিল যৌথবাহিনী। জঙ্গিদের তল্লাশি চালানোর সময় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেই অভিযানে দুই জঙ্গির পাশাপাশি নিহত হয়েছিলেন চার পুলিশকর্মী। এর পরই অভিযান আরও জোরদার করে যৌথবাহিনী। সোপিয়ানে জঙ্গিদের ডেরা ধ্বংস করে তারা। বেশ কয়েক জন জঙ্গির পরিবারকে তুলে নিয়ে আসারও অভিযোগ উঠেছে যৌথবাহিনীর বিরুদ্ধে। এর পরই স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান। সেই ঘটনার বেশ কাটতে না কাটতেই পুলিশকে ‘চাপে’ রাখতে পাল্টা অপহরণের রাস্তা বেছে নিল জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন: মোদীই ‘দেশদ্রোহী’, পাল্টা বলল মিছিল
এ দিকে এই ঘটনার পরই ওই দিন রাতেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে কাশ্মীর জুড়ে। পুলিশ কর্মীদের পরিবারের লোকজনদের উদ্ধারে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে কাশ্মীরের কোণায় কোণায়।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy